শেকৃবিতে বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতির সম্মেলন

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতির (পিবিজিএসবি) দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ও ১২তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টিএসসি সম্মেলন কক্ষে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতি এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে “Plant Breeding Transformation in Changing Climate” মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশ থেকে আগত উদ্ভিদ প্রজননবিদরা।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগসহ অন্যান্য সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ প্রায় সাত শতাধিক উদ্ভিদ প্রজননবিদ অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সবাইকে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করার অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে এফএও’র অ্যাসিস্ট্যান্ট কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিভ ড. নুর এ খন্দকার। পিবিজিএসবি’র সভাপতি ড. মো. আজিজ জিলানী চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সম্মেলনের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া। শেকৃবি উপাচার্য বলেন, আমাদের কৃষি জলবায়ুর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ফলে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে নানা রকম রোগজীবাণুর আক্রমণ যেমন বৃদ্ধি করতে পারে, তেমনি খরা, শৈত্য, লবণাক্ততার মাধ্যমে আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই ক্ষতি লাঘব করার জন্য বিজ্ঞানীরা এখন ফসলের পীড়নসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে নানা রকম মলিক্যুলার প্ল্যান্ট ব্রিডিং কৌশল আবিষ্কার করে চলেছেন। এই কৌশল প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত জিন সম্পদ।

আন্তর্জাতিক এ মিলনমেলায় ৫টি টেকনিক্যাল সেশনে দেশি ও বিদেশি প্রথিতযথা প্রজননবিদরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৩৩টি লাগসই গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করবেন। এছাড়া বাছাইকৃত ৬০টি গবেষণালব্ধ ফলাফল পোস্টারের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের নিকট উপস্থাপন করা হবে। সম্মেলনে উদ্ভিদ প্রজনন এবং কৌলিতত্ত্বে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃত প্রজননবিদরা ও প্রতিনিধির মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও জীবপ্রযুক্তি শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহ-ই-আলমকে উদ্ভিদ প্রজনন অ্যাওয়াডর্স ২০১৯ প্রদান করা হয়। উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক (গবেষণা) প্রয়াত ড. তমাল লতা আদিত্যকে উদ্ভিদ প্রজনন অ্যাওয়ার্ড ২০২০ প্রদান করা হয়। কেনাফ ও মেস্তার উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আল-মামুনকে ইয়ং সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান করা হয়। উদ্ভিদের কৌলিসম্পদ সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ জেনেটিক রিসোর্সেস সেন্টারের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রেজওয়ান মোল্লাকে ইয়ং সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২০ প্রদান করা হয়।