খুলনায় অনাবাদি জমির ১৩ শতাংশে নতুন করে চাষাবাদ
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
খুলনা জেলায় অনাবাদি ও পতিত জমি আছে প্রায় ১০ হাজার ৯৭৫ হেক্টর। অনাবাদি এই ১০ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমির মধ্যে ১৩ শতাংশ জমিকে নতুন করে চাষের আওতায় আনা হয়েছে। চলমান বোরো মৌসুমে খুলনা জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ করা হয়েছে। সম্প্রতি খুলনা জেলায় ৭০ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই হাজার কৃষকের মাঝে পাটবীজ বিতরণ করা হবে। খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ফেব্রুয়ারি মাসের সভায় এ তথ্য জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন। গতকাল রোববার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, খুলনায় করোনা ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ দেয়ার কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৬০ হাজার ৪৩১ জন চতুর্থ ডোজের টিকাগ্রহণ করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে আরও প্রচারণা চালানো প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া নিপাহ ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে খেজুরের রস কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না এবং পাখি বা বাদুড়ে খাওয়া যেকোনো ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, প্রাকৃতিক জলাশয়ে ক্ষতিকর জাল ব্যবহার করে মাছ আহরণ না করতে মৎস্যজীবীদের সচেতন করা হচ্ছে। রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য মেশানো প্রতিরোধের অংশ হিসেবে জেলার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলায় বিগত জানুয়ারি মাসে পাঁচটি মোবাইল কোর্ট ও ১৫টি অভিযান পরিচালনা করে ৪৫৬ কেজি অপদ্রব্য মেশানো ক্ষতিকর চিংড়ি ধ্বংস করা হয়। এ সময় অভিযুক্ত মোট ১৩ জনের কাছ থেকে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, উপকূলীয় এলাকায় কৃষির সুরক্ষার জন্য জমিতে নদীর লবণ পানি প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে বলেও তিনি অভিমত পোষণ করেন। সরকারি সব দপ্তরের মধ্যে কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয় থাকতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম মাহমুদুর রহমান, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।