না.গঞ্জে বন্ধ ঘোষিত গার্মেন্ট খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় বে-আইনিভাবে বন্ধ ঘোষিত মুনলাক্স গার্মেন্টস খুলে দেয়ার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে ওই কারখানার শ্রমিকরা। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় শ্রমিকরা চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল বের করে বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করেছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুনলাক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক আনোয়ার হোসেন। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক এমএ শাহীন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, মুনলাক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক রাজু আহম্মদ, সাহারা আক্তার প্রমুখ। সমাবেশে নেতারা বলেন, মুনলাক্স গার্মেন্টসের মালিক শ্রম আইন লঙ্ঘণ করে যেনো তেনোভাবে কারখানা পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার হীন উদ্দেশে হুট করে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে। যেই শ্রমিকরা বছরের পর বছর এই কারখানায় কাজ করেছেন। যাদের শ্রম-ঘাম নিয়ে মালিক কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছেন। আজ সেই শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য অজুহাত দেখিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারছে। মালিককে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী এই অমানবিক আচরণ পরিহার করতে হবে।

নেতারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে শ্রমিকরা যে মজুরি পান, সে টাকা দিয়ে তাদের সংসার কোনোভাবেই চলছে না। আধপেটা খেয়ে না খেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনো রকম বেঁচে আছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে মুনলাক্সের মালিক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে ৩ শতাধিক শ্রমিক পরিবারকে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে। লে-অফের মধ্যমে কারখানা বন্ধ রাখার মতো সংকট বা উপযুক্ত কোনো কারণ সেখানে নেই। আইন অনুযায়ী উৎপাদনশীল কারখানা লে-অফের মাধ্যমে বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। কারখানার মালিক পরিকল্পিতভাবে তার অন্যত্র প্রতিষ্ঠানে কাজ সরিয়ে নিয়ে কাজ কম থাকার বানোয়াট কথাবর্তা বলছে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও আইনি পাওনা থেকে বঞ্চিত করে মালিক কারখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। প্রতি মাসেই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও নাইট বিল পরিশোধ করা নিয়ে ঘোরাঘুরি করা হচ্ছে। অর্জিত ছুটি ও ছুটির টাকা দেয়া হচ্ছে না। শ্রমিকরা কোনো কথা বললে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এসব বরদাস্ত করা হবে না। নারায়ণগঞ্জের কলকারখানা অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শকের বরাবর সংকট নিরসনের অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বে-আইনিভাবে বন্ধ ঘোষিত কারখান খুলে দিয়ে উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় নেতারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি আদায় করার হুঁশিয়ারি দেন।