জমানো টাকায় ২০ শহীদ মিনার বানাল শিশুরা

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

শিশুদের মধ্যেও শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজনের যেন কমতি নেই। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় প্রতি বছর এ দিনে শিশুরা নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় বরিশাল নগরে কীর্তনখোলা নদীর তীরঘেঁষা রসুলপুর কলোনিতে প্রায় ২০টি শহীদ মিনার তৈরি করেছে শিশুরা। কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে জমানো টাকায় শিশুরা শহীদ মিনারগুলো তৈরি করেছে। এ নিয়ে শিশুদের অভিভাবকদের মধ্যেও দেখা গেছে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা। কোনো কোনো জায়গায় শিশুদের উদ্যোগে পাঁচ টাকা দশ টাকা করে চাঁদা তুলে ও ঘরে ঘরে থেকে চাল-ঢাল উঠিয়ে আয়োজন করা হয় খিচুড়ির। আবার রান্না শেষে বিতরণ করা হয় সবার এমন আয়োজন প্রতিবছর করা হয় বলে জানান সাকিব নামের এক শিশুর মা মনোয়ারা বেগম। তিনি বলেন, বেশ কিছু বছর ধরেই এ আয়োজন করা হচ্ছে এই কলোনিতে। একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে এ কলোনির সবার মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দ বিরাজ করে। আর এ আয়োজনে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। স্থানীয়রা জানান, মূলত ১০-১২ বছর আগে শহীদ মিনার নির্মাণের এমন আয়োজনের উদ্যোগ নেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তী। তার হাত ধরেই এই কলোনিতে এমন আয়োজন শুরু হয়। এরপর থেকে একুশে ফেব্রুয়ারি মানেই কীর্তনখোলা নদীর তীরে রসুলপুর কলোনিতে ভিন্ন এক আয়োজন। পুরো আয়োজনটি শিশু কেন্দ্রিক হলেও ছোট-বড় সবাই এতে সহায়তা করেন। স্থানীয় বাসিন্দা চুন্নু বলেন, শিশুরা শহীদ মিনার নির্মাণের এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারির এক সপ্তাহ আগে থেকেই টাকা জমাতে শুরু করে। সেই জমানো টাকা দিয়ে গাঁদা ফুল ও রঙিন কাগজ কিনে সাজায় শহীদ মিনার। লাবণী নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, মনীষা আপা আমাদের এ শহীদ মিনার দেখে পুরস্কার দেয়। শুধু পুরস্কার নয় শহীদ মিনার সম্পর্কেও ধারণা দেয়।