ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে আমলাপাড়া গার্লসের অধ্যক্ষকে বহাল রাখার চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জে আমলাপাড়া গার্লসের অধ্যক্ষকে বহাল রাখার চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ শহরের আমলাপাড়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বহুল বিতর্কিত অধ্যক্ষ শীতল চন্দ্রে রায়ের অনুসারী শিক্ষকরা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন শিক্ষকরা। এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এর আগে এমপির সাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ও মামলায় তিনি অভিযুক্ত হন।

গত মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গণে এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা বলেন, ‘গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে স্কুল ছুটির পর বিকালে এডিসি উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে অধ্যক্ষ শীতল চন্দ্র রায়কে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি এখানে বসেন কেন? বেরিয়ে যান।’ পরবর্তীতে তিনি আরও বলেন, আপনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে স্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান সব শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে যান। সেখানে এডিসিও ছিলেন। সেখানে ডিসি সব বিষয় শুনে তাদের গাইডলাইন দেন। কিন্তু এর মধ্যেও এডিসি অধ্যক্ষকে ফোনে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। এর প্রতিবাদেই আজকে সভার আয়োজন করেছি। আমরা এডিসি ইসমত আরার প্রত্যাহার চাই এবং প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র রায়কে স্বপদে দেখতে চাই। স্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা চুক্তিভিত্তিক ৫ বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি। সম্প্রতি কে বা কারা এডিসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আমাদের গভর্নিং বডিকে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। কিন্তু সেই বিষয়ে তিনি অধ্যক্ষের সাথে যেই আচরণ করেছেন, তা অপ্রত্যাশিত।

অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ইসমত আরা বলেন, ‘অধ্যক্ষ গত ১৫ ডিসেম্বর পিআরএল পেয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি থাকতে পারেন না। ঘটনার দিন আমি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বলেছি, আপনি তো নীতিমালা অনুযায়ী নেমপ্লেট, প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ চাবি নিজের কাছে রাখতে পারেন না। এই বিষয়ের কারণেই তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমি নীতিমালা অনুসরণ করেছি। এর কারণে কেউ ক্ষুব্ধ হলে কিছু করার নেই। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে শীতল চন্দ্র রায় প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের স্বাক্ষর জাল করে ডিও লেটার প্রেরণ করেন। এই ঘটনায় পুলিশ প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই ঘটনার ২ বছর ২০১৪ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় শীতল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত