ঢাকা ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৬০ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি

না.গঞ্জে নৌযান শ্রমিকদের আনন্দ মিছিল

না.গঞ্জে নৌযান শ্রমিকদের আনন্দ মিছিল

৬০ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করে গেজেট প্রকাশের ঘোষণা দেয়ায় নারায়ণগঞ্জে আনন্দ মিছিল করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে তারা প্রধানমন্ত্রী, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীসহ নৌ মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ উপলক্ষ্যে গতকাল নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনালে আনন্দ মিছিল পরবর্তী সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব। ২০১৬ সালে যে গেজেট হয়েছিল তা থেকে সরকার আরও ৬০ ভাগ মজুরি বৃদ্ধি করেছে। এজন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী ও শ্রম প্রতিমন্ত্রীসহ নৌ মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা যখনই নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করেছিলাম একটি কুচক্রী মহল বারবার তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে। ২০২১ সালে আমরা ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেছিলাম। কিন্তু সেসময় বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের দাবি থেকে বাহিরে রাখা হয়েছিল। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর আমরা কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিলাম। এরপর ২৭ ডিসেম্বর আমরা নৌ পরিবহণ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে একটি বর্ধিত বেতন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল ১ হাজার টাকা এবং ১ হাজার ২০০ টাকা। আমরা তখনই বলেছিলাম এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নৌ শ্রমিকরা যে বেতন পায় সেই বেতনে তাদের জীবন চলে না। শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযান করছিল। তাদের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেসময় একটি মজুরি বৃদ্ধির কমিটি এক মাসের মধ্যে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা থাকলেও একটি কুচক্রী মহলের কারণে মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি প্রায় আড়াই মাস সময় লেগেছে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম শ্রমিকদের মজুরি শতভাগ বৃদ্ধি করা হোক।

তিনি আরও বলেন, ভারতের লাইটারেজ জাহাজের শ্রমিকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত। বালুবাহী বাল্কহেডগুলোতে পদ্মা নদীতে ৩০-৪০টি স্পটে শ্রমিকরা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় নৌ শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নৌ শ্রমিকরা পরিবার পরিজনকে ডাঙায় রেখে নদীতে থাকে। কর্মস্থলে তাদের নিরাপত্তা নেই। সবক্ষেত্রেই অধিকার বঞ্চিত থাকে। অথচ দেশের ৪ শতাংশ পণ্যের ৩ শতাংশই কিন্তু নৌপথে পরিবহণ করা হয়। এজন্য নৌ শ্রমিকদের অধিকার তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে শহরের ৫নং খেয়াঘাট এলাকা থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়কে প্রদক্ষিণ করে লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে সমবেত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি মঈন মাহমুদ, বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নু মাস্টার, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক আক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক কবির হোসেন, ডেমরা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পলাশ, বন্দর শান্তিনগর শাখার সভাপতি মিজান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, মো. সোহেল, মো. জুয়েল, মিরাজ খান প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত