২০ লাখ মানুষের সমাগমের আশা

ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আগামী ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এসময় জনসমাগমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার বার্তা দেন নেতারা। ওইদিন ১৫-২০ লাখ মানুষের জনসমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।

বৃহস্পতিবার নগরীর টাউন হলের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অংশ নেন। দলীয় নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেয়ররা এতে অংশ নেন। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এহ্তেশামুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শিক্ষামন্ত্রী ও আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, দলের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক প্রমুখ।

সভায় জামালপুর ও নেত্রকোনা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জনসভায় লোকসমাগমের জন্য জনসভার দিন বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য দলের কাছে দাবি জানানো হয়। জেলার উত্তর অঞ্চল থেকে সমাবেশ প্রবেশের জন্য পাটগুদাম সেতুর বিকল্প হিসেবে জুটমিল এলাকা দিয়ে ভাসমান একটি সেতুর ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সার্কিট হাউস ময়দানের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।