মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস গুলশানে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজের ডিন ড. মো. ওবায়দুল্লাহর উপস্থাপনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারী অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার, হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি, বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন ও সোস্যাল ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মিহির কান্তি ঘোষাল। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মো. আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য, দশের জন্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার মাধ্যমে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, শুধু দেশে নয়, বিশ্বের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উন্নত ও মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা হবে। সভায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাদের প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ড. খন্দকার বজলুল হক মানারাতকে সব মানুষের বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর তাগিদ দিয়ে বলেন, পরিবর্তনকে মেনে নিয়েই আমাদের সামনে এগোতে হবে। সাজ্জাদুল হাসান বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে মানারাতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তিনি বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে। অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, ধর্মান্ধতা দূর করে মনোজগতে পরিবর্তন আনতে পারলেই বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দাঁড়াবে। ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে সঠিক শিক্ষাটি পায় তা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের তাগিদ দেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন। মারুফা আক্তার পপি বলেন, আমরা কিছু নিতে মানারাতে আসিনি। দিতে এসেছি। মেয়রের নেতৃত্বে মানারাতকে দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় বানানো সম্ভব।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ১৬(৮) ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার হাফিজুল ইসলাম মিয়া, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. মাহবুব আলম, আইন বিভাগের প্রধান মুহা. আজহারুল ইসলাম ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং ভর্তি ও জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এএইচএম আবু সাঈদ।
