ঢাকা ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ-জার্মান সম্পর্ক সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ

বললেন জার্মান অধ্যাপক
বাংলাদেশ-জার্মান সম্পর্ক সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ

বাংলাদেশ-জার্মান সম্পর্ক সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ডিটার রিইনহার্ড। গত সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গিভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত ‘চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপারচুনিটিজ ইন ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্টস বাই জার্মান কোম্পানিজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় এসব কথা বলেন ড. ডিটার রিইনহার্ড। সেমিনারে বাংলাদেশে জার্মানির বিভিন্ন প্রকল্প যেমন- রামপাল, পায়রা সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে জার্মান কোম্পানির অংশগ্রহণ ও ভূমিকা বিশদভাবে তুলে ধরেন এই জার্মান অধ্যাপক। জার্মান ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে ড. ডিটার রিইনহার্ড বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে অধিকতর ভূমিকা পালন করতে পারে জার্মানি। জার্মান নিজ দেশের পরিবেশগত দিক বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্প গ্রহণ করে। তেমনি বিদেশেও কোনো প্রকল্প গ্রহণ করতে গেলে সে দেশের পরিবেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়। কারণ জার্মানির সংসদে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে অবহিত করতে হয়। এটিতে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পরিবেশ জার্মানিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হয়।

সেমিনারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো প্রফেসর ড. হারুন-অর রশিদ বলেন, জার্মান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। তারা মক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর প্রথম দিকে যেসব দেশ স্বাধীনতা লাভের স্বীকৃতি দিয়েছে জার্মান তাদের মধ্যে অন্যতম।

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এবং জার্মান যৌথভাবে কাজ করার অনেকগুলো ক্ষেত্র আছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নে জার্মান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশে জার্মান কোম্পানির আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার এবং বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে বিশ্বাস করি। আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে সার্বিক উন্নয়নে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এক্ষেত্রে জার্মান হতে পারে অন্যতম সহযাত্রী। সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীন, স্নাতকোত্তর শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনসহ ইনস্টিটিউটের গবেষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত