৪০ টাকায় নামল ডিমের হালি

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠার পর রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি। তবে বেড়েছে আদা, রসুন ও সজনে ডাঁটার দাম। মাছ, মাংস, চাল, ডাল ও তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত মঙ্গলবার রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতোই ২১০-২২০ টাকা, পাকিস্তানি ৩১০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৬০-৪৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪৪-৪৫ টাকা থেকে নেমে ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতোই ৬৭০-৭০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লালবাগ বাজারের এক ডিম বিক্রেতা বলেন, সাধারণত গরমকালে ডিম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ কারণে ডিম দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। গত দুই সপ্তাহ যে পরিমাণ সংকট ছিল সেটা আপাতত নেই। সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ২৫-৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০, শসা ২৫-৩০, চিকন বেগুন ৩৫-৪০, গোল বেগুন ৪৫-৫০, পেঁপে ১৫-২০, করলা ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-১০০, লেবু প্রতিহালি ১৫-২০, কাঁচামরিচ গত সপ্তাহের মতোই ১৩০-১৪০, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে দাম ৩০-৪০, ধনেপাতার কেজি ৩৫-৪০, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০, প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫, শিম ৩৫-৪০, মুলা আগের মতোই ১৫-২০, বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা পিস এবং ফুলকপি ১০-১৫ টাকা কেজি দরে বক্রি হচ্ছে।

আদা ১০ টাকা বেড়ে ১২০-১৩০ টাকা এবং রসুন ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। এছাড়া বাজারে নতুন আসা সজনে ডাঁটা ১৯০-২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২২০-২৪০, মিষ্টি আলু আগের মতোই ৩৫-৪০, পটোল ৮০-৯০ থেকে কমে ৭০-৮০, ঢ্যাঁড়স ১০০-১২০ টাকা এবং মটরশুঁটি গত সপ্তাহের মতোই ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে নতুন কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের দরে ১৬-১৮ টাকা, শিল ও ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা এবং গ্রানুলা (সাদা) আলু ১২-১৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৩০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিও বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দামে তেমন একটা হেরফের হয়নি। বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৭ টাকা, দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫, বিআর২৮ ৬০-৬৫, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১১৫-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেট আটা ৬৮-৭০ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলা বুট ৯৫-১০০ এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০, মুগডাল ১৪০-১৫০ এবং বুটেরডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০, কার্প ২০০-২২০, পাঙাশ ১৫০-১৬০, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতলা ৪০০-৪৫০, বাটা ১৬০-১৮০, শিং ৩০০-৪০০, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গুচি মাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।