বিএসএমআরএএইউ’র চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির (বিএসএমআরএএইউ) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তার দূরদর্শী চিন্তা-ভাবনা এবং এই বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর ‘পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১’ সম্পর্কে অবহিত করেন এবং এর আলোকে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অ্যাভিয়েশন সংক্রান্ত গবেষণা কেন্দ্রে রূপান্তরের জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি লালমনিরহাট জেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ এ অঞ্চলের সংসদ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন। ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিমান ও মহাকাশ গবেষণায় দক্ষ ও পেশাদার জনশক্তি তৈরি করতে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সময় তিনি বিমান বাহিনী প্রধানকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি জার্নাল ‘দ্য কোয়েস্ট ফর এক্সিলেন্স’ এবং একটি ব্রোশিওর প্রকাশিত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বর্ণিল ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন পতাকায় সাজানো হয়। পরবর্তীতে, চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংঘ কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিএসএমআরএএইউ পরিবারের সব সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপভোগ করেন। উল্লেখ্য, এ বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯ সালে ঢাকার পুরোনো বিমানবন্দরে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে। লালমনিরহাটে একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস তৈরি না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিমান বাহিনী একটি দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন ও একটি আবাসিক ভবন তৈরির মাধ্যমে সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যার ফলে ৩ জুলাই ২০২২ তারিখে লালমনিরহাট ক্যাম্পাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয় চারটি অনুষদের অধীনে দুটি স্নাতক ও পাঁচটি স্নাতকোত্তর কোর্স পরিচালনা করছে। অল্প সময়ের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পাঠ্যক্রম তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে।