না.গঞ্জের আলোচিত ত্বকী হত্যার বিচার শুরু হয়নি ১০ বছরেও

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়নি ১০ বছরেও। ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তৎকালে র‍্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে দেয়া তথ্য অনুযায়ী উঠে এসেছিল ১১ আসামির নাম যা জাতীয় গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ হয়। সেই ১১ জনের কার কি ভূমিকা ছিল পুরো হত্যাকাণ্ডের সময়জুড়ে- সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লোমহর্ষক সেই বিবরণ দিয়েছিল র‍্যাব। এছাড়া নিহতের বাবা রফিউর রাব্বিও র‍্যাবের বরাত দিয়ে ওই ১১ জনের কর্মকাণ্ড প্রকাশ করেছেন। তবে ১০ বছরেও ত্বকী হত্যার বিচার না পাওয়ায় কষ্ট ও অপেক্ষা দুটোই বেড়েছে স্বজনহারাদের।

ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী বলেন, ‘আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থার চেহারা ত্বকী হত্যার ঘটনা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়। সরকার কীভাবে এতো বৈষম্যমূলক বিচার প্রক্রিয়া একটা রাষ্ট্রে জিইয়ে রাখে, এটা তার উদাহরণ। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে সরকার এই ত্বকীর বিচারটা বন্ধ করে রেখেছে। তাদের দলীয় লোকজনকে রক্ষা করার প্রয়োজনে। এর তো আমরা সেখানে প্রতিকার চেয়েছি, নিন্দা জানিয়েছি, আমাদের দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা রয়েছেন বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, রাজনীতি কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী সবাই এর নিন্দা জানিয়েছে, ত্বকী হত্যার বিচার চেয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো ১০ বছরেও এ বিচারটি হয়নি।

ত্বকীর মা রওনক রেহানা বলেন, ‘১০ বছরেও বিচার হলো না। এখন দেশে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নেই, এটাই বোঝা যায়। কারণ কিছু বিচার হচ্ছে আবার কিছু বিচার আটকে আছে। তা না হলে সব বিচার সমানভাবে হতো। নয় বছর অপেক্ষা করতে হতো না।’ উল্লেখ্য, নিহত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী শহরের চাষাঢ়ায় এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ছিল। ২০১৩ সালের ৭ মার্চ (নিখোঁজের একদিন পর ও লাশ উদ্ধারের একদিন আগে) এ লেভেল পরীক্ষার রেজাল্টে পদার্থবিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছিল যা সারা দেশে সর্বোচ্চ। এছাড়া ও লেভেল পরীক্ষাতেও সে পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন পরীক্ষাতে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল। ৮ মার্চ রাতেই ত্বকীর পিতা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং ১৮ মার্চ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ত্বকী হত্যার জন্য তিনি আটজনের নাম উল্লেখ করে একটি অবগতিপত্র দেন। তদন্তে মামলাটির আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় ২৮ মে ২০১৩ উচ্চ আদালতের নির্দেশে র‍্যাব ত্বকী হত্যা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে।