ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বরিশালে মাছ-মাংসের দাম চড়া কমছে ক্রেতা

বরিশালে মাছ-মাংসের দাম চড়া কমছে ক্রেতা

বরিশালের বাজারে বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম। নগরীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস এক হাজার টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। নগরীর বাংলাবাজারের শেখ রকি নামে এক মাংস বিক্রেতা জানান, বাজারে ৭৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস ও এক হাজার টাকা দরে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে। ফলে মাংসের ক্রেতা দিনের পর দিন কমছে।

তিনি আরো জানান, খাসির মাংস এক হাজার টাকা কেজি হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষ কিনছেন না। বিয়ে বা পিকনিকের অনুষ্ঠানের জন্য মানুষ খাসির মাংস নিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে দোকান টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

শেখ রকি জানান, আগে যশোর-সাতক্ষীরা থেকে একটি গরুবোঝাই ট্রাক আসতে ভাড়া লাগত ১৪-১৫ হাজার টাকা। এখন সেই ট্রাক বরিশাল পর্যন্ত আসতে ভাড়া গুণতে হয় ২৫-২৮ হাজার টাকা। তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

এ বাজারের ইউসুফ আলী নামে আরেক মাংস বিক্রেতা বলেন, আগে বাজারের প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন একটি বড় গরু জবাই করা হতো। এখন সেখানে একটি গরু তো দূরের কথা অর্ধেক গরুও বিক্রি হয় না। তাই বর্তমানে একটি গরু জবাই করে তিন-চার দোকানি মিলে ভাগ করে বিক্রি করছি। তিনি আরো বলেন, কেউ এখন আর ফ্রিজে রাখা মাংস নিতে চায় না। একদিনের অবিক্রিত মাংস থেকে গেলে পরদিন বিক্রি করা যায় না। তাই একটি গরু জবাই করে কয়েক দোকানে ভাগ করে নিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ কারণে ব্যবসা কমে এসেছে। অনেক দোকান মালিক কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারছেন না।

একই অবস্থা নগরীর অন্যান্য বাজারগুলোতেও। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত গরুর মাংস ঠিক ছিল। কিন্তু ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি হওয়ার পর থেকে আর বেচাবিক্রি নেই।

নগরীর সাগরদী বাজারের রানা নামে এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্রেতা কমে অর্ধেকে দাঁড়িয়েছে। এখন মুরগি কিনলেও কেউ এক থেকে দেড় কেজির বেশি নিচ্ছে না। তিনি জানান, কয়েক দিনের ব্যবধানে দেশি মুরগির দাম কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত