গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আলোচনা সভায় বক্তারা

ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রায় বাড়ছে বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগীর সংখ্যা

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রায় বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। বিশ্বের সবেচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এছাড়া বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্রোনিক কিডনি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষ্যে গত ৯ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাভারের পিএইচএ ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ এবং গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং কিডনি’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারের প্রধান নেফ্রোলজিস্ট অধ্যাপক ব্রি. জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফী। অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফী তার বক্তব্যে বলেন, গত বিশ বছরে দুশো বছরের চেয়ে বেশি জলবায়ু পরিবর্তন হয়েছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হিট স্ট্রোকের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া যারা কায়িক পরিশ্রম করেন তাদের প্রচুর ঘাম হচ্ছে। এতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বায়ুদূষন, বন্যা ও খরায় বিশুদ্ধ পানির অভাব, কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। ‘যুদ্ধ এবং কিডনি’ শীর্ষক প্রবন্ধে অধ্যাপক ডা. আইয়ুব আলী চৌধুরী বলেন, যে কোন দুর্যোগ এবং যুদ্ধ বিগ্রহ মানুষকে শারীরিকভাবে আহতের পাশাপাশি মানসিক চাপ বৃদ্ধি করছে, যা পরোক্ষভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার দিকে ধাবিত করছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ক ডা. মনজুর কাদির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা মায়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন এবং সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা চিকিৎসক ডা. মো. সায়েমুল হুদা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ এবং গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার। সভায় অত্যন্ত স্বল্প খরচে কিডনি রোগীদের ট্রান্সপ্লান্টের সুবিধার্থে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শিগগিরই স্যার ফজলে হাসান আবেদ ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারের কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ব কিডনি দিবসের বর্ণাঢ্য র‍্যালি হাসপাতাল গেইট থেকে বের হয়ে পিএইচএ ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।