ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পেশাজীবীদের শিক্ষা কার্যক্রমে ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্ব দিতে হবে : তাপস

পেশাজীবীদের শিক্ষা কার্যক্রমে ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্ব দিতে হবে : তাপস

প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের ভূমিকম্পের মতো অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে শিক্ষা কার্যক্রমেই গুরুত্ব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গত শনিবার রাতে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইবি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস: প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তাপস বলেন, আমাদের সমস্যার গভীরে যেতে হবে। হালকার ওপর দিয়ে হাঁটলে আর হবে না। আমাদের সব কর্তৃপক্ষের কাছে এখন পর্যাপ্ত যান-যন্ত্রপাতি দেয়া আছে। দুর্যোগ হলে কোথা থেকে যান-যন্ত্রপাতি আসবে সেজন্য আমাদের এখন আর অপেক্ষা করতে, বসে থাকতে হয় না। আমরা সেদিক থেকে অনেক দূর এগিয়েছি। এখন আমাদের করণীয় হবে- মূল সমস্যা অনুধাবন করে ঝুঁকি হ্রাসে শিক্ষা কার্যক্রমে এ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া। সেভাবেই আমাদের পেশাজীবীদের তৈরি করতে হবে। দায়িত্ব সঠিকভাবে বণ্টন করতে হবে এবং তা তদারকি করে, পরিপালন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

শিক্ষা কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ না করায় সবকিছুতেই পরামর্শক নিয়োগ দিতে হয় বলে মন্তব্য করে তাপস বলেন, যদি ভুল হয় তাহলে সংশোধন করে দিয়েন। এ পর্যন্ত যত প্রকৌশলীকে (সিটি করপোরেশনে) নিয়োগের জন্য আমি সাক্ষাৎকার নিয়েছি, তারা আমাকে বলেছে- বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পাঠ্যক্রমে স্টাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না। স্টাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি আলাদা বিশেষায়িত শিক্ষা। শুধু রাস্তা নির্মাণ, নর্দমা নির্মাণের সঙ্গে স্টাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এক জিনিস নয়। চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেমন আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞ হয়, আমি মনে করি- প্রকৌশল শিক্ষায়ও তেমনি আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞ হওয়া উচিত। শুধু মাস্টার্স পর্যায়ে নয়, বিএসসি শেষ করে যেহেতু পেশাজীবী হচ্ছে, সুতরাং, বিএসসি পর্যায়েই সেভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে সে স্টাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিশেষজ্ঞ হতে পারেন।

আইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রনক আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইবির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল হুদা, আইইবির পুরকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর, আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট বাংলাদেশের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ খান, আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্টের (রাজউক পার্ট) প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল লতিফ হেলালী এবং আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ড. ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী আহমেদ আনসারি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এসএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম হাজারী, ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা মো. আবুল হোসেন, সম্পাদক কাজী খায়রুল বাসার, ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার সৌমিত্র কুমার, ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ হুদাসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগ ও সেন্টারের প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত