ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সড়কে নিরাপত্তা বিষয়ে ডিএনসিসিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সড়কে নিরাপত্তা বিষয়ে ডিএনসিসিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গতকাল সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ এবং ভাইটাল স্যাপোপঅটেজিসের সহায়তায় ঢাকা উত্তর সিটি কাপোরেশন এবং জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট যৌথভাবে দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালার বিষয়- Findings of roadside observation on behavioral risk-factors for road safety shared with the key stakeholders at Dhaka North City Corporation. কর্মশালায় রোডসাইড অবজারভেশনাল স্টাডির ফলাফল সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG-3.6 and 11.2) অর্জন নিশ্চিত করতে এবং সড়ক দুর্ঘটনাকে (রোড ক্রাশ) সহনীয় মাত্রায় রাখতে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও শহরে কাজ করে যাচ্ছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেইফটি ২০২০-২০২৫ (বিআইজিআরএস) এর অংশ হিসেবে জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট তাদের স্থানীয় অংশীদার (সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ) এর সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সড়ক নিরাপত্তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য পর্যায়ক্রমে রোডসাইড অবজারভেশনাল স্টাডি পরিচালনা করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের অধীনে অবস্থিত এলাকাগুলোতে বিআইজিআরএস প্রকল্প পরিচালনার জন্য আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করে যার অংশ হিসেবে আগস্ট ২০২১ সাল হতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এরই মধ্যে ৩ পর্বের তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনসিসির এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তাবাসসুম আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা।

কর্মশালায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের বিআইজিআরএস অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরা (যেমন- জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট, ভাইটাল স্যার্টেজিস, জিএইচএআই, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ডব্লিউআরআই), একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এবং সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংস্থা উন্মুক্তভাবে অংশগ্রহণ করে। জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট থেকে ডা. শিরিন ওয়াধানিয়া এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ থেকে ডা. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ২৪,৯৫৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নহিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পুলিশের তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে ৫২০০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৩৮ জন নিহত হয়েছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সড়ক দুর্ঘটনার ফলে বাংলাদেশ বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়াও তিনি তার এলাকায় সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের গৃহীত উদ্যোগ ও চলমান কার্যক্রমের কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ (লিফট, এক্সেলেটর ইত্যাদি) ৩৬টি নতুন ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, পথচারীদের অনিরাপদ রাস্তা পারাপার বন্ধ করতে সড়ক দ্বীপে বেড়া স্থাপন, বিমানবন্দর সংযোগ সড়কের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সড়ক উন্নয়ন কাজ, সড়ক বাতি স্থাপন, ফুটপাত তৈরি, ড্রেন তৈরি, আরসিসি পাইপলাইন নির্মাণ এবং রোড সাইন ও মার্কিং, পুরাতন ফুট ওভারব্রিজ মেরামত ও রক্ষণাবক্ষেণ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত