মেডিক্যালে চান্স পাওয়া রিকশাচালকের ছেলের দায়িত্ব নিলেন রাসিক মেয়র

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশালের শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া রিকশাচালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞার ভর্তি ও পড়াশোনার সব দায়িত্ব নিয়েছেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চান মিঞার বাড়িতে যান রাসিক মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু। এরপর রাসিক মেয়র তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেধাবী চান মিঞার মেডিক্যালে ভর্তি ও পড়াশোনাসহ সব খরচ বহন করবেন বলে জানান তিনি। রাজশাহী মহানগরীর ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা রিকশাচালক জাহিদুল ইসলামের ছেলে চান মিঞা। হতদরিদ্র পরিবারের চান মিঞা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে তার ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছিল। পরে বিষয়টি রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রাসিক মেয়র তার ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে চান মিঞার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। এ সুসংবাদে হাসি ফুটেছে চান মিঞা ও তার রিকশাচালক বাবা জাহিদুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের মুখে। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে নগরপিতাকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ এই চান মিঞার পরিবার। চান মিঞার বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২৫ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ আনুষঙ্গিক খরচে প্রয়োজন আরো এক লাখ টাকা। রিকশা চালিয়ে আমার পক্ষে ছেলের ভর্তির জন্য এতো টাকা জোগাড় করা কখনোই সম্ভব না। ছেলে মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আমরা সিটি মেয়রের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চান মিঞার মা শিরিনা বেগম বলেন, মেয়র যদি এভাবে আমার সন্তানের পাশে না এসে দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো ছেলেকে পড়ালেখা করানো সম্ভব হতো না। আমরা মেয়র মহোদয়ের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করি। আর মেধাবী চান মিঞা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজ মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিক্যাল চান্স পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি হই। কিন্তু পরক্ষণেই ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থ সংকটে দিশাহারা হয়ে পড়ি। পরে মেয়র স্যার আমার সব দায়িত্ব নেন। তাই আমি ও আমার পরিবার এখন দুশ্চিন্তামুক্ত। মেয়র স্যারের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। উল্লেখ্য, অদম্য মেধাবী চান মিঞা ২০১৯ সালে ডাঁশমারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসতিতে জিপিএ-৫ এবং ২০২১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবী কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।