বরিশালে তরমুজে সয়লাব বাজার, তবে দর বেশি

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজার সয়লাব রসালো ফল তরমুজে। তবে গত বছরের থেকে এ সময়টাতে তরমুজের দর কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। যদিও উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় আমদানির কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছেন পাইকার ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। তবে দর যা-ই হোক এবারে এখন পর্যন্ত বরিশালের বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রির দৃশ্য তেমন দেখা মেলেনি। যদিও কেউ কেউ কেজি দরে তরমুজ বেচা-বিক্রির কথা জানিয়েছেন। বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ এলাকার মো. জালাল নামে এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, কেজি দরেও তরমুজ বিক্রি করি, আবার কেউ হ্যাচকা পিস হিসেবে কিনতে চাইলে তাও দিই। কোনটাতেই বিক্রিতে সমস্যা নেই আমার। তবে কেজিতে বিক্রি করলে কাস্টমাররাই খুশি হয় বেশি, আবার কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা কম নিলেও আমাদের সুবিধা হয়। কাস্টমারের সঙ্গে দর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে হয় না। বর্তমানে আকার অনুযায়ী প্রতিকেজি তরমুজ ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন অবস্থায় তরমুজের দাম এখন একটু বেশি, কয়েকটা দিন গ্যালে দাম পড়বে। তয় দাম যা- হউক কাস্টমাররা বেশি মাইপ্পা (ওজন) দিতে কয়, হ্যাচকা (পিছ প্রতি গড় দাম) কিনলে নাকি হ্যারাই ঠগে। আমরাও দেখছি হ্যাচকায় বেচলে কাস্টমারের লগে ঝামেলা হয়, একটা হ্যাচকায় বেচলাম একটা সাড়ে ৬০০ আবার একটা ৭০০ টাকায়। কিন্তু কাস্টমার কইবে আমারডা দাম বেশি রাখছ কিন্তু হ্যারডার চাইয়া তো ছোডো। তাই কেজিতে বেচাই ভালো। তবে সুমন খান নামে এক ক্রেতা বলেন, খুচরা বিক্রেতারা আস্ত একটা তরমুজের গড় (হ্যাচকা) দাম এমনভাবে বলবে, তখন মনে হবে কেজিতে কেনাই ভালো। কিন্তু কেজিতে তো কেনা ঠিক না। তরমুজের লাল অংশ যেটা মানুষে খায় তার দর যদি ৫০ টাকা হয়, তাহলে তরমুজের সবুজ অংশ যেটা গরুতে খায় তার দরও ৫০ টাকা। শহুরে জীবনে কেউ গরু পালন করে না। সেই ৫০ টাকা দরে কেনা সবুজ অংশ ফেলেই দিতে হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে তরমুজের দাম একবারে নিয়ন্ত্রণহীন, তবে গোটা শহরের তুলনায় পোর্টরোডে পাইকারি আড়তের পাশের খুচরো দোকানগুলোতে কিছুটা সস্তায় তরমুজ মিলে। মো. রাকিব নামে অপর এক তরমুজ ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে ভালো মান ও আকারের কোনো তরমুজের দাম দুইশত টাকার নিচে নাই। আর মৌসুমের শুরুতে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হলেও এখন পিস হিসেবেই বিক্রি হচ্ছে বেশি। দর বেশির কথা জানিয়ে আ. মান্নান নামে আরেক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, পাইকারি কিনে আনলে তো তরমুজের ভেতর দেখার সুযোগ নাই। কিন্তু আমাদের তো কেটে তরমুজের ভেতর দেখিয়ে বিক্রি করতে হয় ক্রেতাদের কাছে। সে ক্ষেত্রে ভেতর সাদা হলে সেটির লস আমাকেই গুনতে হয়। সবমিলিয়ে লাভ-লোকসানের মাঝেই তরমুজের বিক্রি ভালো হচ্ছে। তরমুজ যতো আসবে ততো দাম কমবে বলে জানান তিনি। বাজারের অবস্থা ভালো জানিয়ে পোর্টরোডের পাইকার বাজারের ইব্রাহিম জিতু নামে এক আড়তদার বলেন, দুই সপ্তাহের মতো হলো বাজারে তরমুজ আসছে। বর্তমানে বাজারে ক্রেতা ভালোই রয়েছে। ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা দরে ১০০ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আর বরিশাল থেকে সারা দেশে প্রচুর তরমুজ যাচ্ছে।