শেবাচিম হাসপাতাল

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ অ্যাঞ্জিওগ্রাম ও হার্টে রিং প্রতিস্থাপন

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটটি (সিসিইউ) নিজেই মুমূর্ষু হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে অ্যাঞ্জিওগ্রাম ও হার্টে রিং প্রতিস্থাপন। কিছুদিন আগে ধুমধাম করে হার্টে রিং প্রতিস্থাপনের বিষয়টি চালু হলেও বর্তমানে তা পুরোপুরিই বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র হাসপাতালে হার্টে রিং প্রতিস্থাপনের বিষযয়টি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হাসপালের অব্যবস্থাপনায় হার্ট অ্যাটাক হওয়া রোগী ভর্তি হওয়ার পর দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করাতে পারছেন না। সময়মত পরীক্ষা না করতে পারায় অনেক রোগী ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর মুখে। বেশিরভাগ রোগীর জন্য ভর্তি হওয়ার পর বাইরের থেকে টেস্ট করাতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগী ও তার স্বজনদের। হাসপাতালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় সিসিইউ ইউনিটের এসিগুলো নষ্ট হয়ে আছে। তাই প্রচণ্ড গরমে রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

এ ব্যাপারে শেবাচিমের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন এসিগুলো চালু করার বিয়য়ে গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এসি চালুর ব্যাপারে বরিশাল গণপূর্ত প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী আবু জিহাদ জানান, বর্তমানে সিসিইউ ইউনিটের এসি নষ্ট হওয়ার বিষয়ে কোনো চিঠি তারা পাননি। চিকিৎসা নিতে আসা কর্ণকাঠির নয়ন, কলাপাড়ার ইরানসহ একাধিক রোগী জানান প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি ময়লা আবর্জনায় নোংরা রয়েছে ওয়ার্ডটি। পুরো ওয়ার্ডের বেডগুলোয় তেলাপোকার আনাগোনা। মানুষের হইচইর কারণে তারা ঘুমাতে পারছেন না। হার্টের রোগীদের সিসিইউ ইউনিটটি কোলাহলমুক্ত থাকার কথা থাকলেও সেখানে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম-কানুন। এ বিষয়ে কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এম সালেহ উদ্দিন জানান, দক্ষ টেকনিশিয়ান না থাকায় অ্যাঞ্জিওগ্রাম ও হার্টে রিং প্রতিস্থাপন ব্যবস্থা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, মেশিনগুলো চালু না রাখতে পারলে কোটি কোটি টাকার মেশিনগুলো সব অচল হয়ে যাবে। তাই হার্টে রিং পরানোর কাজে ব্যবহৃত মেশিনগুলো সচল রাখতে পারদর্শী দক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়োগের দ্রুত দাবি জানান তিনি।