রংপুরে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়ল বেগুনের দাম

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

রমজানের শুরুতেই রংপুরে বেগুনের বাজারে আগুন লেগেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে দুই জাতের বেগুনের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। কৃষক পর্যায়েও কিছুটা বেড়েছে দাম। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত আছে লাল তীর (চিকন) বেগুনের দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার বাজার ঘুরে জানা যায়, লাল তীর (মোটা) জাতের বেগুন সপ্তাহখানেক আগেও প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সেই বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া গোল বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী কাঁঠালি গ্রামের রবিউল ইসলাম রবি নামে এক কৃষক জানান, ছয় থেকে সাত দিন আগে লাল তীর (মোটা) জাতের বেগুনের মণ বিক্রি হয়েছিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। আর গোল বেগুন বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ১২ থেকে ১৫ টাকা। আজ মোটা জাতের বেগুনের কেজিতে পেয়েছি ১৭ থেকে ২০ টাকা। আর গোল বেগুনের কেজিতে পেয়েছি ২৩ থেকে ২৫ টাকা।

পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোটা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। গঙ্গাচড়া উপজেলার চেংমারী গ্রামের হারুন অর রশিদ নামে এক কৃষক জানান, বৃহস্পতিবার লাল তীর (চিকন) বেগুন পাইকারি বাজারে ছিল ৭ থেকে ৮ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারি বাজারে চিকন বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। সপ্তাহখানেক আগেও খুচরা বাজারে চিকন বেগুনের দাম ছিল ১৫ থেকে ১৬ টাকা। রংপুর সিটি বাজারের মোসলেম উদ্দিন নামে এক পাইকারি বেগুন বিক্রেতা বলেন, ‘রমজানের শুরুতে গতকাল বৃহস্পতিবার বেগুনের বাজার চড়া। কৃষকের কাছ থেকে বেগুন কিনে আড়তে আনা পর্যন্ত পরিবহণসহ অন্য খরচ যুক্ত হয়। প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ ধরে আমরা বিক্রি করি।’

মুলাটোল আমতলা বাজারের ভুট্টু মিয়া নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘দুদিন আগ পর্যন্ত মোটা ও গোল বেগুনের দাম বাড়েনি। গতকাল বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে বেগুনের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে আমাদের মতো খুচরা দোকানিরা কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ হিসাব করে বিক্রি করছি।’ মোটা ও গোল বেগুনের দাম বাড়ার বিষয়ে ভুট্টু মিয়া বলেন, ‘রমজানের ইফতারে বেগুনি একটি অন্যতম উপাদান। রোজায় এ দুই জাতের বেগুনের চাহিদা বেশি। এ কারণে দামও চড়া।’

মেডিক্যাল পূর্বগেট এলাকার আমিন হোসেন নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘বুধবার পাইকারি বাজার থেকে যে দরে বেগুন কিনেছি গতকাল বৃহস্পতিবার তার থেকে প্রতি কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দিয়ে নিয়েছি।’

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার হর বানীনগর গ্রামের ইমান আলী নামে এক কৃষক বলেন, চিকন বেগুন ক্ষেত থেকে তুলে সরাসরি হাটে বিক্রি করেছি ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। পাইকারদের কাছে বিক্রি করলে দাম ৮ থেকে ১০ টাকার বেশি পেতাম না।