ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস স্বীকৃতির দাবি

২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস স্বীকৃতির দাবি

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বর্বরোচিত গণহত্যাকে গোটা বিশ্বে স্মরণ করতে ‘২৫ মার্চ’ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় রাবি সিনেট ভবনে এ সভা হয়। সভায় পাকিস্তানের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও শহীদদের সন্তানদের দেশের মধ্যেই যুক্তি তুলে ধরতে হয় একটি গণহত্যা হয়েছিল। একটি স্বীকৃতির জন্য ঘুরতে হয় বিশ্বের দারে দারে! শুধু তাই নয়, জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে হয়। এটা কখনোই কাম্য হতে পারে না। কারণ এ স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির কারণে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলছে না উল্লেখ করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ওয়ান বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মো. শাহ আজম শান্তনু বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া গেলে যারা এ গণহত্যা চালিয়েছিল তারা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। ২৫ মার্চ তথা ১৯৭১ সালজুড়ে বাঙালি জাতির ওপর যা হয়েছিল তা ইতিহাসের পাতায় অভিশপ্ত একটি স্থান। তাই দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবেই স্মরণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বাংলাদেশে সংগঠিত এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পরেই আমরা পাকিস্তানিদের উত্তরসূরিদের পেয়েছি। তবে এখন দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে। এ সময়ই স্বীকৃতি আদায়ের সঠিক সময় বলেও উল্লেখ করেন সরকারের সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী।

আর শুধু ২৫ মার্চ নয়, ১৯৭১ সালে সারাদেশজুড়ে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বাঙালিকে গণহত্যার বিষয়ে সন্দিহান করা হয়েছে এটা খুবই লজ্জাজনক। তাই যারা এ ঘৃণ্য কাজ করেছে তারা স্বাধীনতার শত্রু, দেশের শত্রু। তাদের গোটা বিশ্বেই ঘৃণ্যভাবে পরিচিত রাখতে দিবসটির স্বীকৃতি প্রয়োজন।

এছাড়া আলোচনা সভায় উপস্থিত সবাই জানান, স্বাধীনতার ৫২তম বছরে এসেও এ গণহত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত পাকিস্তান কোনো দিন তাদের এ নৃশংস কার্যক্রমের জন্য দুঃখ প্রকাশও করেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত