ঢাকা ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাটের গুরুত্ব এখনো কমেনি : কৃষিমন্ত্রী

পাটের গুরুত্ব এখনো কমেনি : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) প্রধান কার্যালয় আকস্মিকভাবে গত বুধবার পরিদর্শন করেন এবং ইনস্টিটিউটটির যাবতীয় বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সময় বিজেআরআই’র মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল আউয়াল কৃষিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরবর্তীতে বিজেআরআই’র বিজ্ঞানী এবং কর্মকর্তারা বিজেআরআই’র সবার পক্ষ হতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রীকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্বাগত জানান। পরিচয়পর্ব শেষে বিজেআরআই’র বিজ্ঞানীরা তাদের কার্যক্রম বর্ণনা করেন এবং বিজেআরআই’র চলমান সব কার্যক্রম মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। সবাইকে সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে আমরা ২ বছর কার্যক্রমে পিছিয়ে গিয়েছি, কাজের ধারাবাহিকতা থাকলে হয়তো অর্জন আরো অনেক বেশি হতো। সম্পূর্ণ ক্রপিং সিস্টেমে, ফার্মিং সিস্টেমে পাট একটি উপাদান এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অর্থনৈতিকভাবে এর গুরুত্বও অনেক বেশি। বাংলাদেশ যে সোনার বাংলা নামে পরিচিত, বিশেষ করে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে জিনিসটা বেশি প্রচার করেছেন এবং বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন সোনার বাংলাদেশ হিসেবে, যা সোনালি আঁশ পাটকে কেন্দ্র করে হয়েছে। পাটের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং আমাদের অর্থনীতিতে এর গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়েছে এবং এটা বলে আজো আমরা গর্ববোধ করি, অহংকার করি। মন্ত্রী বলেন, পানির অভাবে আমরা সোনালি আঁশকে যেভাবে চিন্তা করি, সেভাবে এখন আর হয় না। একসময় এটাকে অর্থকরি ফসল হিসেবে অনেক গুরুত্ব দেয়া হতো। পাটের গুরুত্ব এখনো কমেনি। সম্প্রতি বহুমুখি ব্যবহারের কারণে বেসরকারি খাত পাটের দিকে এগিয়ে আসছে, ফলে গুরুত্বও বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যপারে খুবই আগ্রহী। এ সময় মন্ত্রী বিজেআরআই এর বর্তমান কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন বিজেআরআই’র বিজ্ঞানিরা ভালো কাজ করছে, বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিজ্ঞানিদের যেভাবে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়, কাজ করার পরিবেশ দেয়া হয় এবং যে লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া হয়, সেটা আমাদের দেশে দেয়া হয় না। এমনকি কৃষিকে গুরুত্ব দেয়া হয় না। আমাদের আগামীতে চেলেঞ্জ হলো মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো। মানুষের জীবনযাত্রার মান, মেধাবৃত্তি বাড়ানোর জন্য, সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য আরো অনেক বহুমুখী খাবারের প্রয়োজন। পশ্চিমা বিশ্ব এখনো আবিষ্কারের দিক থেকে এগিয়ে। আপনারাও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবেন। পাট প্রাকৃতিক সম্পদ আমাদের আবহাওয়া, আমাদের জলবায়ুর অবস্থা এতই উপযুক্ত পাট উৎপাদনের জন্য, কিন্তু আমরা সেটা ব্যবহার করতে পারি না। টেক্সটাইল ডিভিশনকে আরো বেশি উন্নত করা দরকার। ফলাফলকে বাড়ানো দরকার। পাট গবেষণা বিজ্ঞানিরা আপনারা আপনাদের গবেষণাকে টেকনোলজিতে যদি রুপান্তর না করতে পারেন, বাণিজ্যিকিকরণ করতে না পারলে সেই গবেষণার কোনো মূল্য নেই। সেটা আপনাদের সামনে চেলেঞ্জ। সেই চেলেঞ্জকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। বেসরকারি বিভিন্ন জুট মিল মালিকরা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে, পাটের বহুমুখী ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বহির্বিশ্বে পাটের যে আগ্রহ সেটাকে যাদি আমরা সারা বিশ্বতে ছড়িয়ে দিতে পারি তবে পাটের প্রসার অনেক বৃদ্ধি পাবে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কারিগরি বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. মোসলেম উদ্দিন, জুট টেক্সটাইল বিভাগের পরিচালক ড. ফেরদৌস আরা দিলরুবা, কৃষি উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ ড. নার্গীস আক্তার, প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক কৃষিবিদ ড. এসএম মাহবুব আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের সিএসও, পিএসও, এসএসও, এসওসহ সব স্তরের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত