ঢাকা ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাধ্যের বাজারে মিলছে ৫০ টাকায় মাছ-মাংস

সাধ্যের বাজারে মিলছে ৫০ টাকায় মাছ-মাংস

রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়নে রমজান উপলক্ষ্যে নিম্ন আয়ের মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনায় স্বস্তি দিচ্ছে ‘সাধ্যের বাজার’ নামে একটি বাজার। যে বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষরা নিজের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছেন। রোজার মাসজুড়ে তারা এ বাজারে তাদের সাধ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করতে পারবেন। এ বাজারে মিলছে ৫০ টাকায় পৃথকভাবে মাছ-মাংস এবং ১০ টাকায় তেল, চিনি, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য। তাই এই বাজারের নাম দেয়া হয়েছে ‘সাধ্যের বাজার’।

নিম্ন আয়ের মানুষের কেনাকাটা করার জন্য মাছ, মাংস, সবজি, তেল, লবণ, মসলাসহ সব ধরনের পণ্য মজুদ আছে বলে জানান সাধ্যের বাজারের মূল উদ্যোক্তা, স্বাধীন বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী দেলোয়ার হোসেন। এ বাজারের আয়োজক হিসেবে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে আরো যুক্ত আছে- বালাচওড়া স্পোর্টস একাডেমি, লাহিড়ীরহাট ক্রীড়াচক্র ও উন্নয়ন সমন্বয় পরিষদ। আয়োজকরা জানান, রমজান উপলক্ষ্যে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাধ্যের বাজারে বেচা-কেনা চলছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ বাজারের কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলেও জানান তারা। তারা আরো জানান, রোজার মাসজুড়ে নিম্ন আয়ের মানুষরা নিজের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন সাধ্যের বাজারে। এ আয়োজন প্রতিবছরই করা হবে। সাধ্যের বাজারে আসা আজাহারুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘চাল, সবজি কেনার টাকায় হয় না, গোস্ত কিনিম কী দিয়া? শেষ কোনো দিন গোস্ত খাছু মনে নাই। আইজ এটে ১০০ টাকাত গোস্ত কিননু। পোয়াতি ভাতোত ছাওয়াল গুলাক নিয়া খাইম।’ বাজারের মূল উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামের মধ্যে দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষরা যেন স্বস্তিতে নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারেন সে জন্যই এমন উদ্যোগ। এখানে ক্রেতারা ১০ টাকা থেকে শুরু করে সামর্থ্য অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারবেন।

রংপুর সদর উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি আরজিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের তরুণরা এতো সুন্দর করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে এমন অনন্য আয়োজন করতে পারে ভেবে আমি অনেক গর্ববোধ করছি।’ সাধ্যের বাজার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, এ বাজরের জন্য আনা খাদ্যপণ্য আমরা কেনা দামে বিক্রি করছি। প্রতিদিন রংপুর শহরের পাইকারি বাজার থেকে এসব পণ্য কিনে আনা হয়।

চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, গ্রামের তরুণ প্রজন্ম যে ইচ্ছা করলে ভালো কিছু করতে পারে, তার প্রমাণ ‘সাধ্যের বাজার’। তাদের এ উদ্যোগের জন্য গ্রামের দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করতে পারছেন। তরুণদের এ উদ্যোগ অবশ্যই অনুকরণীয়।

রংপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি বলেন, তরুণদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আয়োজকরা যদি আমাকে জানায়, তাহলে পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করব। সাধ্যের বাজারে যে কোনো প্রয়োজনে আমি আয়োজকদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত