ঢাকা ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বরিশালে ক্রেতার অভাবে আড়তে পচছে তরমুজ

বরিশালে ক্রেতার অভাবে আড়তে পচছে তরমুজ

বরিশালের তরমুজ ব্যবসায়ী মনির হোসেন। বললেন, ‘ব্যবসা করি ২৫ বছরের ওপরে। এ বছরের মতো এত তরমুজ পচা দেখিনি। ট্রলার-গাড়ি ভাড়া করে চাষিরা তরমুজ নিয়ে আসেন। আসতে আসতে অর্ধেক পচে যায়। আর ক্ষেতে তো অর্ধেক পচেই গেছে। খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন চাষিরা’ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল পোর্ট রোড খালের পাড়ে কথা হয় তার সঙ্গে। ভোলার চাষি ফয়সাল বলেন, তিন লাখ টাকা ব্যয় করে তরমুজ চাষ করেছিলাম। বৃষ্টির আগে এক লাখ টাকা বিক্রি করতে পেরেছি। সেখান থেকে ২০ হাজার টাকা পরিবহণ ও শ্রমিক খরচ দিয়ে ৮০ হাজার টাকা টিকেছে। ওই টাকাই সম্বল। বাকি দুই হাজার পিস তরমুজ নিয়ে এসেছি আজ দুই দিন। ক্রেতা নেই। ট্রলারেই পচছে তরমুজ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার বাড়ি বরিশাল থেকে জানানো হয়েছে, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি তরমুজ আবাদ হয়েছে। বরিশাল জেলায় তরমুজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭০০ হেক্টর জমিতে, আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৪৬ হেক্টর জমিতে। পিরোজপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৬ হেক্টর জমিতে, ১১৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। ঝালকাঠিতে লক্ষ্যমাত্রা না থাকলেও ৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। পটুয়াখালীতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না হলেও আবাদ হয়েছে ২৮ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে। বরগুনায় ১১ হাজার ৫১২ হাজার হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে। ভোলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ২৪৯ হেক্টর জমিতে, ১৮ হাজার ৩৮৩ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত