ঢাকা ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টিসিবির পণ্য রাখার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টিসিবির পণ্য রাখার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে টিসিবির ৬২০ জন গ্রাহকের পণ্য জোরপূর্বক রেখে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, গত ১ এপ্রিল কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলাম জোরপূর্বক টিসিবির ট্রাক নিজের গোডাউনে ঢুকিয়ে টিসিবির পণ্য রেখে দেন। এছাড়া, তার দুই পুত্র ও সচিবের মাধ্যমেও টিসিবির পণ্য আত্মসাৎ করেন। প্রতিবাদ করায় ডিলারকে মারধর করেন তিনি। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী ডিলার। তবে, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম। লিখিত অভিযোগে মেসার্স মাশফি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী টিসিবি ডিলার মো. মাসুদ আলম জানান, গত ১ এপ্রিল টিসিবির ১ হাজার ৮২৮টি পণ্য বিক্রির জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ডে নিয়ে যান। সেখানে ভোক্তাদের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রি করার সময় ২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে ভোক্তাদের কাছে স্মার্ট কার্ড বিতরণ না করে তার এক পুত্রকে দিয়ে ২০০টি ও আরেক পুত্র ১৭১টি এবং কাউন্সিলরের সচিবের মাধ্যমে ৭১টি কার্ডের মাধ্যমে কয়েকবার টিসিবির পণ্য নিয়ে যান। কাউন্সিলর নিজে ১০-২০টি কার্ড ও তার আত্মীয় স্বজন দিয়ে ৫টি-১০টি করে স্মার্ট কার্ড পণ্য নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি আপত্তি করলে আমাকে চর, থাপ্পড় দেন। কেউ তাকে আটকাতে গেলে তার ওপরও ভীষণ চড়াও হয়। এভাবে আমার কাছ থেকে প্রথমবার প্রায় ১৫০ থেকে ২০০টি মাল নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার ভোক্তাদের মাঝে পণ্য বিতরণ করতে না দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক প্রায় ৬২০টি টিসিবির পণ্যসহ নিজস্ব গোডাউনে গাড়ি ঢুকিয়ে গাড়ি ও পণ্যসহ গোডাউন তালা মেরে দেন। এ বিষয়ে আমি আবার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। পরবর্তীতে প্রায় ৬২০টি টিসিবির পণ্য কার্ড ছাড়াই সে তার গোডাউনে রেখে গাড়িসহ আমাকে বিদায় করে দেন।

তবে, এ বিষয়ে কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই ডিলারের সঙ্গে আমার কিছুই হয়নি। ডিলার আমাকে ১৪৬টি পণ্য কম দিয়েছে। তার সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। যে কারণে সে আমার বিরুদ্ধে নালিশ দিয়েছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কাউন্সিলরকে তলব করেছিলাম। কাউন্সিলর ভুল স্বীকার করে জানিয়েছেন এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত