ঢাকা ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্প : কৃষি সচিব

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্প : কৃষি সচিব

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, একসময় এদেশে মঙ্গা ও খাদ্যাভাব ছিল, কিন্তু বর্তমান কৃষিবান্ধব সরাকারের বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে আমাদের দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব বাজারে নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি করার মত ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ, কৃষিবিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণবিদদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং কৃষকের পরিশ্রম এই কৃষি উন্নয়নের ধারার মূল চালিকাশক্তি। দেশের ক্রমহ্রাসমান আবাদি জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টি চাহিদা পূরণ, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং মহামারি করোনা অভিঘাত ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা পরবর্তী দেশের জনগণের খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি নিরসনে খোরপোশ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরই আগামীর কৃষির অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ। উক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ব বাজারে মানসম্পন্ন কৃষি পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের কৃষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্যে ভূমিকা রাখবে যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্প। অত্র প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে যেমন যশোর অঞ্চলে দানাদার ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন উচ্চমূল্য ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের ফলে কৃষকের উৎপাদিত ফসলের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পাবে।

গতকাল শুক্রবার সকালে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রশিক্ষণ রুমে যশোর অঞ্চল টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের পাঁচ দিনব্যাপী কর্মকর্তা প্রশিক্ষণের সমাপণী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব এসব কথা বলেন। দেশে বাণিজ্যিক কৃষি সম্প্রসারণ হচ্ছে জানিয়ে কৃষি সচিব আরও বলেন, বাণিজ্যিক কৃষি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অভ্র প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু যশোর অঞ্চলেই ১৮০০জন তরুন কৃষি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষি মূলধারায় অনভুক্ত করা হবে এবং তাদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হবে।

অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে কৃষি সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। দেশে খাদ্য ঘাটতি নিরসনে তিনি প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অত্র প্রকল্পের আওতায় যশোর অঞ্চলে ২২, ০০০ এর অধিক বসতবাড়ির পতিত জমি আবাদের আওতায় আনা হবে। পাশপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল স্তরে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা অনুসরণের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশের অঞ্চল ভিত্তিক কৃষি সম্ভাবনাকে বিবেচনায় রেখে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক যশোর অঞ্চলের ৬টি জেলার ৩১টি উপজেলায় সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে জুন, ২০২২ হতে জুলাই ২০২৭ মেয়াদে ‘যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। অন প্রকল্পের আওতায় মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, সাভার ঢাকা এর প্রশিক্ষণ হলরুমে গত ৩ এপ্রিল হতে ০৫ দিনব্যাপী বিসিএস কৃষি সমকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. দেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট: কৃষিবিদ মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, পরিচালক (সরেজমিন উইং), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর; কৃষিবিদ ড. সুরজিত সাহা রায়, পরিচালক, কৃষি তথ্য সার্ভিস ও কৃষিবিদ ড. মো. ফেরদৌস আহমেদ, উপ-পরিচালক, মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, সাভার, ঢাকা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রমেশ চন্দ্র ঘোষ, প্রকল্প পরিচালক, যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্প।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত