গরমে কদর বেড়েছে তরমুজ-ডাব-লেবুর

প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দাবদাহে পুড়ছে উত্তরাঞ্চল। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে। তীব্র গরম থেকে বাঁচতে ফল খেয়ে শরীর ঠান্ডা করছে মানুষ। গরমে রাজশাহীতে বেড়েছে বাঙ্গি, তরমুজ, লেবু, বেল ও ডাবের চাহিদা। গরম ও রমজানে এসব ফলের চাহিদা দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়ে গেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। এ কারণে রাজশাহীতে তাপমাত্রা বাড়ছে। এ অবস্থা আরো কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল সোমবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে রোববার রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার রেকর্ড করা হয় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, কাঁচাবাজার থেকে ভ্যানগাড়ি সবখানেই মৌসুমি ফল বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও কিছুটা বেড়েছে। ছোট আকারের তরমুজ প্রতি পিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মাঝারি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং বড় তরমুজ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের বাঙ্গি ৫০ থেকে ৮০, মাঝারি ১০০ থেকে ১৫০ ও বড় সাইজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।

গরমের কারণে গত কয়েক দিনে লেবু ও বেলের শরবত এবং ডাবের চাহিদা বেড়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি শরবত ও ডাব ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। রাজশাহী সাহেব বাজারে বাঙ্গি ও তরমুজ বিক্রি করছেন মো. ফরিদ। তিনি বলেন, মাঝে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাঙ্গি ও তরমুজের দাম কমেছিল। কিন্তু অনেকেই তখন কেনেননি। এখন আবার খরা চলছে। তাই মানুষ বেশি করে কিনছে। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন সবমিলিয়ে চার মণ মাল বিক্রি করতাম। এখন ১০ থেকে ১২ মণ বিক্রি করি। গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফলেরও দাম বেড়েছে। সাহেব বাজার এলাকায় ভ্যানে করে লেবু ও ডাব বিক্রি করছেন মাসুদ রানা। প্রতি পিস লেবু ১০ টাকা ও ডাব আকারভেবে ৫০ থেকে ৮০ টাকা দামে বিক্রি করতে দেখা যায় তাকে। মাসুদ রানা বলেন, গরমের কারণে মানুষ ইফতারি কম কিনে লেবু ও ডাব কিনছেন। প্রতিদিন গড়ে ২০০ লেবু ও ১০০ ডাব বিক্রি হচ্ছে। আগে যেখানে ৩০ থেকে ৪০টির মতো বিক্রি হতো। ডাব কিনতে এসেছেন সাথী রহমান। তিনি বলেন, রাজশাহীতে গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। সেই সঙ্গে চলছে রমজান মাস। তাই ইফতারের পর কিছুটা শান্তি পেতে ডাব কিনছি। কিন্তু ডাবের দাম বেড়ে গেছে।

পাশের দোকানেই তরমুজ কিনছিলেন মুক্তি বেগম। তিনি বলেন, বাড়ির সবার জন্য আমাকে ভাবতে হয়। এই গরমে ইফতারে ভাজাপোড়া কম করে ফল বেশি বেশি খেতে হবে। তাই কিছু ফল কিনতে এসেছি।