ঘোষিত পণ্যের পরিবর্তে ভারতীয় কাপড় আমদানি

চট্টগ্রাম বন্দরে ৪০ ফুট দীর্ঘ এক কনটেইনার ভর্তি ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার চালান আটক করেছে কাস্টম কর্মকর্তারা। সোমবার কনটেইনারটি ফোর্স কিপডাউন করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। পরে ওই দিন রাতে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

কাস্টমস সূত্র জানায়, ফেনী জেলার সদর থানার আজিজ এন্টারপ্রাইজের নামে সোডা অ্যাশ লাইট ঘোষণায় চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এতে ঘোষিত পণ্যের পরিবর্তে ১২ হাজার ৫৫০ পিস বেনারসি শাড়ি, ১ হাজার ১৩৯ পিস জর্জেট শাড়ি, ৪০৩ লেহেঙ্গা ইত্যাদি পাওয়া যায়। এসব পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। গত ৪ এপ্রিল কনটেইনারটি জাহাজে থাকাব¯'ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে চালানটি লক করে এআইআর শাখা। কনটেইনারটি জাহাজ থেকে নামানোর পর কাস্টম হাউজের অনুরোধে বন্দরের বিশেষ নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়। এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ঘোষণায় এই চালানে পণ্য আমদানি করা হয়। ঈদে ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গার চাহিদা বেশি থাকে। তাই শুল্ক ফাঁকির মাধ্যমে বেশি মুনাফার উদ্দেশ্যে চালানটি আনা হয়েছে বলে ধারণা করা হ"েছ। এ চালানে কম শুল্কে সোডা অ্যাশের চালানে উ"চ শুল্কের শাড়ি ও লেহেঙ্গা আনায় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণা ও রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টার অভিযোগে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কাস্টম হাউজ চট্টগ্রামের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান।