১০ বছর পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বরিশালে

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

চৈত্র শেষে বৈশাখের শুরুতে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলা ঘরের বাইরে মানুষ বের হতে চাচ্ছে না। ফলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর পিচঢালা পথগুলোতে মানুষের চলাচল অনেকটাই কমে যায়। এদিকে প্রচণ্ড গরমে সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে, ফলে চলাচলে মানুষের ঝুঁকি বাড়ছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার সকাল থেকে তাপমাত্রা গত শনিবারের মতো বিরাজ করছে। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আর এরইমধ্য ১০ বছর পরে আবারো বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে শুক্রবার বিকালে। ওই দিন বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১২ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিলো ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে। এখন আর আগের মতো বড় বড় গাছ নেই, পুকুর নেই, খাল নেই, এসব কারণে বাতাসের সঙ্গে ময়েশ্চার বহন করে না, তাই সবকিছু শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আশার কথা হলো ২/১ দিন পরে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে এমনকি বৃষ্টিও হতে পারে।

এদিকে গত কয়েকদিনের মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের কারণে প্রচণ্ড গরমে জেলার বিভিন্ন সড়কের পিচ গলে যেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যেসব স্থানে গাছ বা ছায়া নেই সেসব স্থানে বৃহৎ আকারে পিচ গলে যাচ্ছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের পাশাপশি বরিশালের গৌরনদী থেকে আগৈলঝাড়া পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ গলে গেছে। এ সড়কের পিচ গলে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পায়ের জুতা ও যানবাহনের চাকার সঙ্গে পিচ লেগে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও মাহিলারা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী শাওন সরদার সোলাইমান জানান, আগৈলঝাড়া তিনরাস্তা থেকে গৌরনদী তিনরাস্তার মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার সড়কের অবস্থা বর্তমানে বেহাল। প্রচণ্ড গরমে রাস্তার পিচ গলে গেছে। সেখান থেকে যানবাহন চালনা যেমন দুষ্কর, তেমনি হাঁটাচলাও দুষ্কর। রাস্তা পার হতে গেলে গলে যাওয়া পিচের সঙ্গে পায়ের জুতো আটকে যাচ্ছে অনেকেরই। এভাবে ঝুঁকিতে পথ চলতে গিয়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।

চিকিৎসা সহকারী রোবটের প্রতিষ্ঠাতা এই যুবক বলেন, উপজেলায় আরো সড়ক রয়েছে, তবে এমন অবস্থা কোনোটির নেই। আবার এ সড়কটির দুইপাশে প্রচুর গাছও রয়েছে, সেই হিসেবে ছায়াও পড়ে সড়কে। এটি শুরু থেকেই নির্মাণ ত্রুটির সড়ক হওয়ায় এখন গরমে পিচ গলে চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় অটোচালক কালাম বলেন, রাস্তার বিষয়ে বলার কিছু নাই। রৌদ্দুরের তাপে এমনভাবে পিচ গলছে যে গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হয়। তিনচাকা-চারচাকা যানবাহনের থেকে মোটরসাইকেল বাইসাইকেল চালাতে আরো কষ্ট হয়। আর মানুষ রাস্তা পার হতে গেলে জুতা আটকে যায়, ছিঁড়ে যায় কিন্তু মানুষ পার হতে পারে না। আর খালি পায়ে তো হাঁটাই সম্ভব না।