রংপুরের ঈদের প্রধান জামাত হবে কালেক্টরেট ঈদগাহে

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্দুর রহমান মিন্টু, রংপুর

পবিত্র ঈদুল ফিতর সমাগত। গতকাল বুধবার থেকে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের লোকজনের বাড়িফেরা অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন বাস-টার্মিনাল ও রেল স্টেশনগুলোতে এখন ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে। এদিকে জনগনের যাত্রা নির্বিগ্ন করতে বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশনে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে ঈদের আর বেশি দিন বাকি না থাকায় সারাদেশে ঈদের বাজারগুলো বেশ জমে উঠেছে। চলছে আনন্দ মুখর পরিবেশে কেনাকাটা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। রাজধানী, বিভাগ, জেলা-উপজেলা, গ্রামগঞ্জ সর্বত্র মানুষ তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের জিনিষপত্র কিনছেন আগ্রহ সহকারে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ অথবা ২৩ তারিখ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বিভাগীয় নগরী রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপনের জন্য বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে সকালে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঈদ উপলেক্ষ্যে সিটি করপোরেশন নগরীর সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ নানাভাবে সজ্জিত করেছে। রংপুরের ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কালেক্টরেট ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। বৃষ্টি হলে ঈদের প্রধান জামাত হবে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত হবে ৯টায়। সকাল সাড়ে ৮টায় মুন্সীপাড়া ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নিউ আদর্শপাড়া ঈদগাহে সকাল ৯টায়, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, তারাগজ্ঞ, বদরগঞ্জ পীরগঞ্জ, মডেল মসজিদ ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে ।

এছাড়া হযরত মওলানা কেরামত আলী (রহ.) মাজার সংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায়। এবারে জেলার প্রায় ৫ হাজার ৯০টি মসজিদ সংলগ্ন এলাকার ঈদগাহ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজের সময় সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ঈদ জামাতগুলোতে প্রাণঘাতী রোগবালাই ও বিপর্যয় থেকে মুক্তি লাভসহ দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দিনের অন্যান্য কর্মসূচিতে রয়েছে- হাসপাতাল-এতিমখানা, কারাগার ও শিশু পরিবারগুলোতে বিশেষ খাবার পরিবেশন। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।