নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজার এলাকার পুরোনো কোর্ট মসজিদের সামনের মার্কেটে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেখানে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দোকানিরা। গতকাল সোমবার এই অভিযোগ করেন উচ্ছেদ হওয়া ছয় দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা। তবে এ বিষয়ে আদালতের কোনো আদেশ বা নিষেধ অমান্য করা হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
অভিযোগকারী দোকানি সামাদ জানান, আমরা উচ্ছেদ অভিযানে আসা অফিসারদের কাগজ দেখতে চেয়েছি। তারা আমাকে র্যাব অফিসে ধরে নিয়ে যায়। আমার মোবাইল নিয়ে যায়। পরে মালামাল বের করে উচ্ছেদ করার আধাঘণ্টা পর আমাদের ছেড়ে দেয়। আরেক দোকানদার লিংকন চন্দ্র দে জানান, আমরা তাদের কাছে উচ্ছেদের কাগজ দেখতে চেয়েছি। এ সময় তারা বলে ওরে ধর। তিনি বলেন, আমাদের মালামাল কোথায় আছে, এখনও বলতে পারছি না। আমাদের প্রায় ৬০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আমরা আদালতের স্টে অর্ডারের কাগজ দেখিয়েছি। কিন্তু কাগজ ছিড়ে তারা পাড়িয়ে বলে এসব কাগজের কোনো ভ্যালু নেই।
কর্ণফুলী ফটোস্ট্যাটের মালিক মো. মোশাররফ হোসেন জানান, আমাকে ওরা আটক করে ২ ঘণ্টা বন্দি রেখেছিল। আমদের দোকান প্রায় ৪০ বছর ধরে এখানে। আমার বাবাও এখানে দোকানদারি করেছেন। রূপালী ফটোস্ট্যাট দোকানের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্যাশের টাকা, ল্যাপটপ কিছুই পাইনি।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোকান মালিকদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, যে মামলাটা হয়েছে, তাতে তারা উচ্ছেদ করেছে বেআইনীভাবে। আমরা হাইকোর্টে যাব। আইন সবার জন্য সমান। কেউ যদি আদালতের আদেশ অমান্য করে, তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
প্রসঙ্গত গত বুধবার দুপুরে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন দোকান মালিকরা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজ জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে নোটিশ দিয়ে মেয়াদ শেষে নতুন করে টেন্ডার করার পর সর্বোচ্চ টেন্ডারদাতারা দোকানগুলো বরাদ্দ পেয়েছে।