ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে নাশকতার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেলসহ তিন বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আস সামস জগলুল হোসেনের আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের জামিনের সময় শেষ হওয়ায় তারা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। কারাগারে প্রেরণ করা অপর দুজন হলো- ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোহাগ। তাদের আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, ২০ নভেম্বর ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা জাকির খানের হাজিরা ছিল। ওইদিন জাকির খানের কর্মী সমর্থকরা আদালতপাড়ায় উপস্থিত হওয়ায় পুলিশ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করে। সেই মামলায় রোজেল, পান্না মোল্লা ও সোহাগ উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় তারা তিনজন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০ নভেম্বর দুপুর ২টায় আদালতপাড়ার সামনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে জাকির খানের মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। এর কাছেই নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তারা যানবাহন ও রাষ্ট্রায়াত্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে লাঠিসোটা, রড, ককটেল, ইটপাটকেল নিয়ে সড়কে টায়ারের মধ্যে আগুন দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, নাশকতাকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময়ে চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
