চার সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই

প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরের গঙ্গাচড়ার শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু এলাকায় এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধিসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মহিপুর এলাকার লুলু ও দুলাল মিয়া।

গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তিস্তা সড়ক সেতু এলাকায় চরের ভুট্টার বাম্পার ফলনের প্রতিবেদন করতে যায় এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি বাদশাহ ওসমানি, ভিডিও সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম, দৈনিক দাবানলের স্টাফ রিপোর্টার একেএম সুমন ও ফটো সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম। এ সময় স্থানীয় পূর্ব মহিপুর এলাকার মৃত শহিদার রহমানের ছেলে লুলু মিয়া ভুট্টা গাছের ছবি তুলতে বাধা দেন। এ সময় তিনি অতর্কিতভাবে এশিয়ান টেলিভিশনের ভিডিও সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের ওপর হামলা করে তাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন রাজু, দুলালসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গঙ্গাচড়া হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করায়। হামলায় সাংবাদিক ওসমানির কান ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ওসমানি বাদী হয়ে মামলা করেন। আমরা এরই মধ্যে লুলু ও দুলালকে গ্রেপ্তার করেছি। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। হামলার শিকার সাংবাদিক বাদশাহ ওসমানি জানান, এবার চরে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই প্রতিবেদন করার জন্য আমি সহকর্মীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে গঙ্গাচড়ার মহিপুর শেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতুর পূর্ব পাশে চল্লিশ সালের চরের ভুট্টা ক্ষেতে যাই। সেখানে আমার ভিডিও সাংবাদিক আরিফুল ক্যামেরা বের করে ভুট্টার ছবি তোলা শুরু করা মাত্রই লুলু মিয়া বাধা দেন। কোনো ধরনের কথাবার্তা ছাড়াই তিনি আরিফুলকে বেধড়ক কিলঘুষি মারতে মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেন। তাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেসহ আমার অন্য দ্ইু সহকর্মীরকেও মারতে থাকেন তিনি। এরপর আশপাশ থেকে দুলাল, রাজুসহ ১০ থেকে ১২ জন বের হয়ে এসে আমাদের বেধড়ক মারতে থাকেন। তাদের আমরা বলতে থাকি- কেন মারছেন, তারা তখন গালিগালাজ করতে থাকেন ও মারতে থাকেন। এভাবে তিন দফায় তারা আমাদের মারতে থাকেন। বিষয়টি সেখান থেকে পুলিশ সুপার মহোদয়কে অবহিত করলে তিনি ফোর্স পাঠিয়ে আমাদের উদ্ধার করেন।