ঢাকা ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

না.গঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

না.গঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে শরাবন তহুরা এই রায় ঘোষণা করেন।

সেই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই জরিমানার টাকার মধ্যে মামলা পরিচালনার খরচ হিসেবে ১০ হাজার টাকা রেখে বাকি টাকা নিহতের কন্যা আদিবাকে দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন মো. শামীম (৪৫)। তিনি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার সাহাব উদ্দিনের ছেলে। সেই সঙ্গে নিহত স্ত্রী হলেন মো. খাদিজা আক্তার। তিনি একই এলাকার মৃত আ. রাজ্জাক হাওলাদারের মেয়ে। রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি দণ্ডিত শামীম তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে চাপাতি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে এই ঘটনায় খাদিজার ভাই বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। তাদের সংসারে আদিবা নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, দণ্ডিত শামীম তার স্ত্রী খাদিজাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের একরামপুর এলাকার এক ভাড়াটে বাসায় বসবাস করে আসছিল। তাদের দাম্পত্য জীবনে আদিবা নামে এক কন্যাসন্তানের জন্ম নেয়। তবে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলে আসছিল। কলহের একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি সকালের কোনো একসময়ে স্ত্রী খাদিজাকে জবাই করে হত্যা করে কন্যা আদিবাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। সেই সাথে কন্যা আদিবাকে রেখে চলে যায়। পরে এই খবর শুনে খাদিজার ভাই আমিনুর ইসলাম শামীমের ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে দেখেন খাদিজাকে চাপাতি দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত