ঢাকা ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈদের পর খুলনায় বেড়েছে মাছ-মুরগি-আলুর দাম

ঈদের পর খুলনায় বেড়েছে মাছ-মুরগি-আলুর দাম

ঈদ-পরবর্তী নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। লাফিয়ে বাড়ছে মাছ-মুরগিসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। এ নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে মাছের দাম। প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ৮০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর রয়েছে মুরগির দাম। প্রতি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

নগরীর রূপসা সন্ধ্যা, ময়লাপোতা, টুটপাড়া জোড়াকল, নিরালা ও মিস্ত্রিপাড়া বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিঙে, পেঁপে, পটোল, বরবটি, কচুর লতি, কাঁচা কলা, কাঁকরোল, করলা, উচ্ছে, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, খিরাই, কুশিসহ অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত কয়েক দিনের মধ্যে আলুর দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে আলু ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে সেটি ৪০ টাকা হয়েছে। ১০০ টাকায় আড়াই কেজির বেশি আলু বিক্রি করতে চাইছে না কোনো দোকানি। আলুর সঙ্গে দাম বেড়েছে টমেটোর।

নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা মিরাজ বলেন, গত শনিবার শিম ৬০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ (প্রতি পিস), উচ্ছে ৬০, বরবটি ৬০, পেঁপে ৪০, ঝিঙে ৫০, কুশি ৬০, কচু ৬০, কাকরোল ৮০, লাউ শাক ৫০, লাল শাক ৪০, পালং শাক ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ১০-৩০ টাকা কেজি দরে।

নগরীর জোড়াকল বাজারের মুরগি বিক্রেতা মনির জানান, সকালে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৩০ টাকা, কক ৩২০ টাকা, সোনালি ৩৩০ টাকা ও পাকিস্তানি সোনালি ৩৬০ টাকা। এ ব্যবসায়ী বলেন, রমজান মাসে ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা, অন্য মুরগির দামও কেজিতে ১০-২০ টাকা কম ছিল।

জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা ওবায়দুল জানান, বাজারে মাছ কমে যাওয়ায় দাম একটু বাড়তির দিকে। এখন ২০০ টাকার নিচে কোনো মাছ পাওয়া যায় না। গরিবের মাছ হিসেবে পরিচিত পাঙ্গাশ মাছের দামও কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শুধু তাই নয়, তেলাপিয়া মাছের দামও বেড়েছে ৮০-১০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে এখন প্রতি কেজি রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম ৩০০ টাকা, পাবদা ৪৫০, টেংরা ৬০০, পার্শে মাছ ৭০০, টাকি মাছ ২৫০-৩০০, বাগদা চিংড়ি ৭০০-৯০০, পুঁটি মাছ ৩০০, হরিণা চিংড়ির দাম তো আরো বেড়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত