ঢাকা ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে সওজ’র অভিযান

মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের শতাধিক কাউন্টার উচ্ছেদ

মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের শতাধিক কাউন্টার উচ্ছেদ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। অভিযানের সময় মহাসড়কের উত্তর পাশের শতাধিক দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের কাউন্টার গুঁড়িয়ে দেয়ায় হাজারো যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, হাইওয়ে পুলিশ ও সওজ’র কিছু কর্মকচারীকে মাসোহারা দিয়ে সড়কের দক্ষিণ পাশে মহাসড়কের একটি আলাদা লেন দখল করে দখলবাজরা দোকানপাট বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। এতে মহাসড়কের ওই লেনে যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচল করতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলেও সওজ এতদিন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে সম্প্রতি গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সওজ কর্তৃপক্ষের।

গত বুধবার সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উচ্ছেদ অভিযান চালায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশ। উচ্ছেদ অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিল।

অভিযানের সময় দূরপাল্লার শতাধিক পরিবহন কাউন্টার গুঁড়িয়ে দেয়ায় ঢাকা থেকে দেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পূর্বাঞ্চলীয় ১৮ জেলার বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী হাজার হাজার নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে বাধ্য হন। রোদ, বৃষ্টি থেকে যাত্রীদের রেহাই দিতে বাঁশের খুঁটির ওপর পলিথিন কিংবা পুরোনো টিন দিয়ে অস্থায়ীভাবে ওই পরিবহন কাউন্টারগুলো সড়কের ফুটপাত থেকে নিরাপদ দূরত্বে স্থাপন করেছিলেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা।

পরিবহন কাউন্টারের সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকরা জানান, সড়ক উন্নয়ন করা হয় পরিবহন যোগাযোগ সুবিধাজনক করার জন্য। মানুষের যাতায়াতের জন্য পরিবহন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এই ঝড়-বৃষ্টির দিনে যাত্রীদের খোলা আকাশের নিচে দাঁড়াতে বাধ্য করায় তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে বাধ্য হয়েছেন। পরিবহন কাউন্টারের সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকরা আরো বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি জায়গায় প্রভাবশালীদের দখলে সওজের জায়গা থাকলেও সেগুলো উচ্ছেদ করছে না সওজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যাত্রীদের স্বল্প সময়ের জন্য আশ্রয় নেয়া কাউন্টারগুলো গুঁড়িয়ে দেয়ায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ যাত্রীদের পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত প্রায় অর্ধ লাক্ষ যাত্রী শিমরাইল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পরিবহনে উঠে থাকেন। ফলে ভ্যাপসা গরম ও প্রচণ্ড দাবদাহের সময় খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকায় নারী, শিশু ও বয়ষ্ক মানুষের যাত্রীবাহী বাসের জন্য অপেক্ষা করা অনেক দুর্ভোগের। অপ্রয়োজনীয় এমন উচ্ছেদ বন্ধ করা এবং দূরপাল্লার স্থায়ী পরিবহন কাউন্টার স্থাপনের জোর দাবি জানিয়েছেন কাউন্টার মালিক ও কর্মচারীরা।

এ ব্যাপারে কাঁচপুর থানা হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই একেএম শরফুদ্দিন বলেন, যাত্রীদের আমরা নিরাপত্তা দিতে পারব। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির সময় তাদের অবস্থান করার মতো আশ্রয়স্থল আমরা দিতে পারব না।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সওজ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ফুটওভার ব্রিজের সম্প্রসারণ কাজের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত