শাবিতে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ডাল কাটার পাশাপাশি নিধন হচ্ছে গাছ

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গাছ কাটার ফলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য হারানোর শঙ্কায় ক্ষোভ জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী। গত শুক্রবার দুপুরে ক্যাম্পাসের মেডিক্যাল সংলগ্ন রাস্তায় গাছ কেটেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডালপালাও কাটা হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, ঝড়ের কারণে শুধু ঝুঁকিপূর্ণ যেসব গাছ ছিল সেগুলোই কাটা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল গ্রাউন্ড ও মেডিক্যালের মধ্যবর্তী রাস্তায় বড় ও মাঝারি সাইজের চারটি গাছের মূল কাটা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে সড়কের পশ্চিম পাশের মোট চারটি আকাশমনি গাছ কাটা হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে। এর আগেও ক্যাম্পাসের কিলোরোডসহ বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে। এছাড়াও আরেকটি গাছ কাটা হবে বলে জানিয়েছেন কাঠুরিয়ারা।

গাছ কাটায় শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা দাবি করছেন, গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন গাছগুলো কাটার ফলে যেমন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবেশেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খেয়াল খুশিমতো যে কোনো সময় গাছ কাটে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এছাড়া গাছ কাটলে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যও নষ্ট হয়।

প্রশাসন গাছগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বললেও সেখানে উপস্থিত কাঠুরিয়ারা এবং কর্মচারীদের সাথে কথা বললে তারা গাছগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেননি। তারা জানান, গাছগুলো তেমন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। গাছগুলো জীবিতই ছিল। গাছগুলোর কিছু ডাল কাটলেই হতো। আমাদের বলা হয়েছে গাছ কাটতে তাই আমরা কাটছি। আমরা এ বিষয়ে আর কিছু জানি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেইট শাখার কর্মকর্তা এ জেড এম তামরিনুল হাসান বলেন, যে চারটি গাছ কাটা হয়েছে সেগুলো আকাশমনি গাছ। গাছগুলোর ভেতরে পচে গেছে এবং হেলে গেছে এক পাশে। ঝড় আসলে গাছগুলো ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা ছিল অনেক। ঝুঁকির আশঙ্ক থেকেই এ গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে আর কোনো গাছ কাটা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেইট শাখার প্রধান এবং ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. রোমেল আহমেদ বলেন, ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ার ঝুঁকি থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানের গাছের ডালপালা কাটা হচ্ছে। এরমধ্যে চারটি গাছের ভেতরে পচে যাওয়ায় গাছগুলো কাটা হয়েছে। এছাড়া আর কোনো গাছ কাটা হয়নি, আর হবেও না। তবে আমরা আরো গাছ রোপণ করব।