চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে বিজ্ঞানসম্মত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ থাকতে হবে

বললেন বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের পাশাপাশি ছোট মাছ, অলিভ অয়েল, কালো জিরা, ডালিম ইত্যাদির উপকারিতা উল্লেখ থাকা উচিত। ওষুধ নির্ভরতা কমিয়ে মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে বিজ্ঞানসম্মত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার বিষয়ে চিকিৎসকরা অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কালোজিরার বহুবিধ উপকারিতা সম্পর্কে ১ হাজার ৫০০ বছর আগে মহানবী (সা.) যা বলেছেন, আজ তা বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত। ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, ছোট মাছ শিশুদের আইকিউ অর্থাৎ বুদ্ধির মাত্রা বাড়ায় যা’ ফ্যাটি এসিড ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অজস্র পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের মলা, ঢেলা, কাচকি ও পুঁটি মাছ বাচ্চাদের খাওয়াতে হবে, এমন কথা চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে লিখে দিলে জনস্বাস্থ্যের ওপর এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। জাতীয় বিজ্ঞান যাদুঘরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল রোববার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ৪৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রশিক্ষণরত ৪২ জন বিসিএস চিকিৎসককে নিয়ে আয়োজিত ‘বিজ্ঞানসম্মত খাদ্যাভ্যাস : চিকিৎসকদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে এ আহ্বান জানান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. রোমানা আফরোজ লুবনা। এছাড়া বক্তব্য দেন সহকারী কোর্স পরিচালক ডা. মীর ওয়ালিদুল ইসলাম। এর আগে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের সৌরবাগান, বিমানজোন, টাইটানিক জাহাজ ও অন্যান্য গ্যালারি চিকিৎসকরা পরিদর্শন করেন। তাদের বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের ঐতিহাসিক বিবর্তনসমূহ উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।