সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এখনো খোলাসা করেননি বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গত রোববার এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, আগামী ২০ মে এ বিষয়ে তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করবেন। আরিফের অবস্থান নিশ্চিত না হওয়ায় অন্য প্রার্থীরাও কিছুটা টেনশনে রয়েছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী শিবিরে- এ নিয়ে উৎকণ্ঠা বেশি। তার (আনোয়ার) শুভাকাক্সক্ষীরা আরিফ প্রার্থী হওয়া না হওয়ার হিসাব-নিকাষ করছেন।
সিসিকের বিগত দুটি নির্বাচনে পরপর দুইবার মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক। তার সমর্থক জুরেজ গুলজার জানান, দুই টার্মে আরিফ নগরীর ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ করেছেন। ছড়া-নালা সংস্কার করেছেন। যে কারণে নগরবাসীর কাছে মেয়র হিসেবে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তবে, আওয়ামী লীগ আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষের এ বক্তব্য মানতে নারাজ। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ১০ বছরে সিলেটে অপরিকল্পিত উন্নয়ন হয়েছে। স্মার্ট ও পরিকল্পিত সিটি গড়তে তারা আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে ভোট চাইছেন। অবশ্য, এ দু’জনের মধ্যে কেউই এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।
মেয়র পদে চারজনের মনোনয়ন সংগ্রহ : ২১ জুন অনুষ্ঠেয় সিলেট সিটি নির্বাচন উপলক্ষে রোববার পর্যন্ত মেয়র পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গত রোববার মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান। এর আগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান ও সামছুন নুর তালুকদার মনোনয়নপত্র কেনেন।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের মিডিয়া সেল (সিটি নির্বাচন) কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন জানান, গত ২৭ এপ্রিল থেকে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন প্রার্থীরা। গত রোববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেয়র পদে চারজন ও কাউন্সিলর পদে ২৬৭ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। কাউন্সিলর পদে ২৬৭ জনের মধ্যে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (মহিলা কাউন্সিলর) ৫৯ জন এবং ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে (পুরুষ কাউন্সিলর) ২০৮ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বলে জানান তিনি।
সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইভিএমে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৩ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ মে। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন।