২৭ কোটি টাকার ব্রিজ

নির্মাণকাজ শেষের আগেই পিয়ার ক্যাপে ফাটল

প্রকাশ : ১০ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুরের পীরগঞ্জে নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই করতোয়া নদীর উপর নির্মাণাধীন ন্যুনদহ ব্রিজের নিচের অংশ পিয়ার ক্যাপে বড় ধরনের ফাঁটল দেখা গেছে। ফলে প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, জাতীয় সংসদের স্পিকার রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের এমপি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পীরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল এবং দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলার মানুষের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে করতোয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সেই নির্দেশের আলোকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) আওতায় সিআইবি প্রজেক্টের মাধ্যমে করতোয়া নদীর উপর চতরা জিসি গিলাবাড়ী ঘাট ভায়া নিশ্চিন্তবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে ন্যুনদহ ঘাট পর্যন্ত করতোয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২৬ কোটি ৮২ লাখ ৩৩ হাজার ৮৭৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যাদেশ পেয়ে ২০১৮ সালের ৯ মে চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘পিপি এল জেভি’ ৫২ ছাত্তার ম্যানসন ও প্যান্স লাইন্স ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু করে। শর্তানুযায়ী ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। অথচ এখন পর্যন্ত ন্যুনদহ ব্রিজের মাত্র ৭০ শতাংশ সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্ষা মৌসুম শেষে নদীর পানি কমে যাওয়ায় ব্রিজের পিলার ও এবাটমেন্টের নিচের অংশ দৃশ্যমান হয়। এতে দেখা যায়, সব ক’টি পিলার ও দুই পাশের এবাটমেন্টের নিচের অংশ ভেঙে গেছে। এতে ব্রিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।

গত সোমবার এলজিইডি’র একটি বিশেষজ্ঞ দল ব্রিজের সামগ্রিক অবস্থা সরেজমিন তদন্ত করেন। তদন্তে তারা কি পেয়েছেন? তা এখনো জানা যায়নি। ভেঙে যাওয়া অংশ ব্রিজের কোনো ক্ষতি করবে কি না? তাও এখনো স্পষ্ট নয়।

এদিকে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী জানান, ন্যুনদহ ব্রিজের জন্য ৫ একর ৩৩ শতাংশ জমি এখনো অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। কাজ করতে গিয়ে বারবার জমির মালিকদের কাছ থেকে বাধার সম্মুখিন হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী জানান, সোমবার ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম ব্রিজ পরিদর্শন করেছে। সেই টিমের নির্দেশনা মতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি আরো জানান, জেলা প্রকৌশল বিভাগের অনুমোদন ও ঢাকার প্রধান প্রকৌশল দপ্তরের অনুমোদনপত্র নিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে জমা দিয়েছি।

জেলা ভূমি কার্যালয় থেকে অনুমোদন এলেই জমির মালিকরা জমি অধিগ্রহণের টাকা পাবেন এবং ব্রিজ নির্মাণ কাজেরও গতি বাড়বে।