ঢাকা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শীতলক্ষ্যায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা, অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

শীতলক্ষ্যায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা, অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ

শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ময়মনসিংহপট্টি এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ সময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জমির কাগজপত্র দেখার পরে আলোচনা সাপেক্ষে ভাঙা হবে বলে আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধরা শান্ত হয়। পরে একরামপুর ইস্পাহানী এলাকায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় একটি ভেকু দিয়ে অনুমোদনহীন কয়েকটি ডকইয়ার্ডের দখলকৃত স্থাপনা, ৯টি পাকা ঘর, ১০টি সেমিপাকা ঘর, ২০টি টিনশেড ঘর, টংঘরসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

গতকাল বুধবার বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযানটি পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রবিউল আলম, উপ-পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেনসহ বিআইডব্লিউটিএর হিসাব বিভাগ, নৌসংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা। অভিযানকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, নৌপুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শীতলক্ষ্যার উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের ময়মনসিংহপট্টি এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। তারা দাবি করেন এসব জায়গা তারা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ক্রয় করেছেন। জমির মালিকদের কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে ওই এলাকায় অভিযান চালানোর আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হয়ে চলে যান। পরে একরামপুর ইস্পাহানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাকা ও সেমিপাকা স্থাপনাসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত