ঢাকা ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খুলনা-মংলা রেললাইন চালু হতে পারে জুলাইয়ে

খুলনা-মংলা রেললাইন চালু হতে পারে জুলাইয়ে

খুলনা-মংলা রেললাইন আগামী সেপ্টেম্বর মাসে চালুর নির্ধারিত সময় হলেও চলতি বছরের জুলাই মাসে চালু হতে পারে ৯১ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মংলা রেললাইনে ট্রেন চলাচল। এই রেললাইনের ১১টি প্ল্যাটফর্মের কাজ শেষ হওয়ায় এ ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, খুলনা-মংলা রেললাইনের ৯৭ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতিমূলক কাজ। ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনার অন্যতম মেগা প্রকল্প রূপসা রেল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা-মংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। নির্মাণকাজ শুরুর পর কয়েক দফায় এ প্রকল্পের সময় ও অর্থ বৃদ্ধি করা হয়।

খুলনা-মংলা রেলপথ প্রকল্পটির কাজ তিন ভাগে বিভক্ত। এর একটি রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু, অপরটি রেললাইন এবং অন্যটি টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং সিস্টেম। প্রকল্পের আওতায় লুপ লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৯১ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। রূপসা নদীর ওপরে যুক্ত হচ্ছে ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু। এছাড়া ১০৭টি ছোট সেতু ও ৯টি আন্ডারপাস। রেলপথের ৯১ কিলোমিটারের মধ্যে ৮১ কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ কিলোমিটারের কাজ জুলাইয়ের আগে সম্পন্ন হবে।

রেলসেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো রূপসা নদীর ওপর রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছে। স্টেশন, রেললাইন স্থাপনসহ বাকি কাজও করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। রেললাইনের জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন ও রেলসেতু নির্মাণসহ পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান রূপসা রেলসেতু পরিদর্শনকালে বলেন, সেতু প্রকল্পের কাজ শেষে আগামী সেপ্টেম্বর চালুর নির্ধারিত সময়। কিন্তু এখন আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসেই সেতুটি চালু হবে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে লাইনে। তিনি বলেন, রূপসা রেলসেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মংলা বন্দর ও মংলা ইপিজেডে আরো গতি সঞ্চারিত হবে। মংলা বন্দরের সঙ্গে খুলনাসহ সারা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ সুগম হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে। কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও সহজে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত