‘বিগত ২০ বছরের নিরীক্ষায় সুস্পষ্ট যা, দেশে সার্বিক দারিদ্র্য যেমন ৪৮.৯ শতাংশ থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ এবং অতি দরিদ্রের হার ৩৪.৩ শতাংশ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে তেমনি আশ্রয়ণ প্রকল্প, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি, শিক্ষা উপবৃত্তি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সরকার কর্তৃক গৃহীত দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যান্য কর্মসূচির সঠিক বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে, সাম্প্রতিক কোভিড মহামারির কারণে অনেকে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকির ক্ষেত্রে আমাদের দেশ যেহেতু তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে অনেকেই দারিদ্র্য সীমার ওপরে উঠতে পারছে না’।
গতকাল সকাল ১০.৩০টায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে চরম দারিদ্র্য এবং মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের স্পেশাল রেপরটিয়র গৎ. ঙষরারবৎ উব ঝপযঁঃঃবৎ সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি কমিশনের কার্যক্রম ও এখতিয়ার সম্পর্কে জানতে চান এবং দলিত, শ্রমিক ও চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং বৈষম্য বিলোপ আইন বিষয়ে আলোচনা করেন। কমিশন চেয়ারম্যান কমিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। তিনি আরো বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যান্য অন্তরায়ের মধ্যে একটি হলো দুর্নীতি যা দূর করার জন্য সরকারের শীর্ষ মহল থেকে নানা প্রকার নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। দুর্নীতি দূর করার মাধ্যমে দেশে যেমন গণতান্ত্রিক প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হবে তেমনি আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে, যা পক্ষান্তরে মানবাধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এ সময় কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।