ঢাকা ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কেসিসি নির্বাচন

প্রার্থীদের ঘুম নেই, ভোটাররা নীরব

প্রার্থীদের ঘুম নেই, ভোটাররা নীরব

খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণাযুদ্ধে ভোটের মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও ভোটারদের সাড়া নেই তাতে। বিশেষ করে দল নিরপেক্ষ সাধারণ ভোটাররা এ ইস্যুতে অনেকটাই নীরব ভূমিকা পালন করছেন। ভোটের মাঠে বিএনপি না থাকায় অনেকটা জমজমাট হচ্ছে না ভোটযুদ্ধ।

এমনকী ভোটের দিন তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন কি না, তা নিয়েও অনেকে সংশয়ে রয়েছেন। এ অবস্থায় ভোটের দিন অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি উদ্বেগজনক হারে কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন অভিজ্ঞ রাজনীতিকরা। তবে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে নানা কৌশল অবলম্বন শুরু করেছেন। এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি যে কারণে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন এক একটি ওয়ার্ডে।

পথসভা, জনসভা, উঠান বৈঠক থেকে শুরু করে দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। সেসঙ্গে দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। তবে বেশি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। জানা গেছে, কেসিসি নির্বাচনে মোট সাতজন মেয়র প্রার্থী, ১৪৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৩২ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আল-আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেন, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলনের মেয়রপ্রার্থী হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়াল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম। কেসিসি নির্বাচনের তপসিল অনুযায়ী, ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। আগামী ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ এবং ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।

ভোটের মাঠ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত অব্দি মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনায় ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে এসব কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছে ভাড়াটে কর্মীরাও। সিটি ভোটকে ঘিরে রাজনীতির মাঠও এখন সরগরম। অথচ সব কিছুর পরও ভোটের মাঠে সাধারণ ভোটারের আগ্রহের কোনো প্রতিফলন নেই। চায়ের দোকানগুলোতে দৃশ্যমান হচ্ছে না ভোটের সরব আলোচনা।

নাগরিক নেতা গ্লোবাল খুলনার সভাপতি শাহ মামুনুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, কেসিসি নির্বাচন নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে কোনো উৎসব উত্তেজনা নেই। তবে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা থেমে নেই। পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছে তারা। বিএনপি নির্বাচনে না আসায় নির্বাচনি মাঠে জনগণের মধ্যে তেমন কোনো উদ্দীপনাও দেখা যাচ্ছে না। তবে তারা থাকলে ভোটের মাঠ জমজমাট হয়ে উঠত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত