আল্লামা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ির দাফন সম্পন্ন

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সিলেট ব্যুরো

সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী জামেয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহে হযরত শাহজালাল (র.) মাদ্রাসার মুহতমিম, বিশিষ্ট বুজুর্গ মাওলানা মুফতি মো. মুহিব্বুল হকের (গাছবাড়ি) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।

জানাজার আগে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মরহুমের সহোদর আতিকুল হক, শায়খুল হাদীস মাওলানা জিয়া উদ্দিনসহ শতাধিক ব্যক্তি বক্তব্য রাখেন। দুপুর ১২টায় তার লাশ শাহী ঈদগাহে আনা হয়। এখানে লোকজন সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে শেষ বারের মতো তার লাশ দেখেন। এসময় পুরো শাহী ঈদগাহ মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর লোকজন ঈদগাহের দুই পাশে দাঁড়িয়ে জানাজার নামাজ আদায় করেন। জানাযায় অংশ নেয়া কে এম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জানাযায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। এ কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানাযার নামাজে ইমামতি করেন তাঁর বড় ছেলে, দরগাহ মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা এনামুল হক জুনাইদ। জানাযা শেষে হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। দরগাহ শরীফের খাদেম সামুন মাহমুদ খান জানান, বৃহস্পতিবার অজুশেষে মাগরিবের নামাজের প্রস্তুতির সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে সিলেটের সচেতন মহল ছাড়াও কওমি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যু সংবাদ শুনে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দরগাহ চত্বরে ভিড় জমান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন মেয়ে ও ছাত্র-শিক্ষক-মুরিদানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

দরগাহ মাদ্রাসার মুহতামিম ছাড়াও মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী (র.) ছিলেন সম্মিলিত কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড আল হাইয়াতুল উলয়ার সদস্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির ও সিলেট জেলা সভাপতি, সিলেটের প্রাচীন শিক্ষাবোর্ড আযাদ দ্বীনী এদারার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, খাদিমুল কুরআন পরিষদের সভাপতি, সিলেট জেলা উলামা কমিটির চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা ফতোয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি ১৯৭৩ সালে দরগাহ মাদ্রাসায় যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ মাদ্রাসার মুহতমিম (অধ্যক্ষ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।