বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন

১৯ ধারা সংশোধনের সুপারিশ করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

“বাল্য বিবাহের ছোবলে পড়ে নারীর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাল্যবিয়ের কারণ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। একটি গবেষণায় এসেছে, অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে ১৮.৯৯ ভাগ, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে ২৫.৪৬ ভাগ বাল্যবিয়ে হয়। এছাড়াও কম বয়সে বিয়ে দিলে যৌতুকের পরিমাণ কম দিতে হয় বলে মনে করে বাবা-মা। আমি মনে করি, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে স্থানীয় নেতা ও ধর্মীয় নেতাদেরকে বেশি করে সম্পৃক্ত করা জরুরি। এছাড়াও, বাল্য বিয়ে নিরোধ আইনের ১৯ ধারায় যে বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট না হয়ে পরিধির ব্যাপকতার কারণে বাল্যবিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেয়ে প্রশ্রয় দেয়ার মতো। তাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনের এই ধারা সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।” গতকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে ‘শিশুর প্রতি সহিংসতা নিরসনে প্রচারাভিযান’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি. বলেন, বাল্যবিবাহের কারণে অন্যান্য আর্থ-সামাজিক প্রতিবান্ধকতা যেমন মাতৃমৃত্যু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মেয়েদের ঝরে পড়া ইত্যাদি দেখা যায়। সেজন্য বাংলাদেশ সরকার মেয়ে শিশুদের বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া রোধ করার জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করেছে, এর ফলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে। বাল্যবিবাহ রোধে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের সচেতন করা বেশি জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশন পরিচালিত খরংঃবহরহম ঃড় ইৎরফবং শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা করা হয়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বারলেট, চন্দন গোমেজ, সিনিয়র ডিরেক্টর অপারেশনস, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং নিশাত সুলতানা, উপ-পরিচালক, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।