পেঁয়াজের দাম বেড়েছে খুলনায়, কমেছে মাছের

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার বাজারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে পেঁয়াজ। কয়েক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে ৬০-৮০ টাকা হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে। আমদানি না থাকায় মোকামগুলোতে সংকট সৃষ্টি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এ পেঁয়াজ।

খুলনার সোনাডাঙ্গা ট্রাক টার্মিনাল কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক জানান, ফরিদপুর মোকামে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা কেজিতে এক টাকা বাড়ালে বাজারে এসে সেটি ৬-৭ টাকা বেশি দাঁড়ায়। মোকাম থেকে দুই হাজার ৭৫০ টাকায় এক মণ পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। এ বাজারের নুর ইসলাম জোয়ারদ্দার নামে আরেক ব্যবসায়ী জানান, বৃষ্টিতে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। ফরিদপুর মোকামগুলোতে এ পণ্যটির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাজারের অপর ব্যবসায়ী বলেন, ঈদের আগ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ। এরপর থেকে ধাপে ধাপে পণ্যটির দাম বাড়তে থাকে। নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী রুবেল জানান, পাইকারি বাজার থেকে ৭০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি। সেখানে কেজিতে দুই টাকা দেয়া লাগে। এরপর বাজার থেকে বের হওয়ার জন্য রয়েছে অনুমতি খরচ। সবমিলিয়ে কেজিতে ৭৮ টাকা পড়ে। ৮০ টাকায় বিক্রি না করলে পেট বাঁচবে না।

এদিকে বাজারে যখন পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী তখন বৃষ্টির কারণে মাছের দাম একটু কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে চিংড়ি মাছের দাম। এছাড়া রুই, কাতলা, পাঙাশ, পাবদা মাছের দামও একটু কমেছে। জোড়াকল বাজারের মাছ বিক্রেতা মিরাজ জানান, একদিন আগে চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০-৭০০ টাকায়। আর গতকাল সে মাছ ৫৮০ টাকায় নেমে এসেছে। এছাড়া রুই কাতলার দাম কেজি প্রতি একশত টাকা কমে ১৬০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের দামও কেজিতে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।