পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা গ্রহণযোগ্য নয় : কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। একইসঙ্গে, দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকায় আরো ২-৩ দিন বাজার পরিস্থিতি দেখে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি। গতকাল রোববার সকালে সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, গত বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ও মজুত ভালো ছিল। পেঁয়াজের দাম কম ছিল, কৃষকরা কম দাম পেয়েছিল। সে বছর দাম বাড়বে-এই আশায় মজুত করে রাখা পেঁয়াজ পচে গিয়েছিল। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেজন্য, এবছর পেঁয়াজের কী অবস্থা আমরা দেখতে চাচ্ছি। কৃষকের নিকট, গুদামে ও আড়তদারের নিকট কি পরিমাণ পেঁয়াজ আছে, তা দেখতে গত ২-৩ দিন মাঠ পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। মাঠ থেকে তথ্য পেয়েছি যে, যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে। তবে, দাম আরো বাড়বে- এই আশায় বাজারে বিক্রি করছে না। এছাড়া, কেবলই পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কথা না। সিন্ডিকেটের হাত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত বছর কৃষকরা দাম কম পাওয়ায় এবছর পেঁয়াজের উৎপাদন কমেছে প্রায় ২ লাখ টনের মতো। আমরা উচ্চপর্যায়ে, নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করছি। গভীরভাবে বাজার পর্যবেক্ষেণ করছি। ২-৩ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে কি না।

নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনো কারণ নেই : নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কোনো কারণ দেখছি না। আমার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না। তারা বাস্তবতা বুঝবে এবং একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সহযোগিতা দিবে। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কোনোদিনই আমরা কামনা করি না ও সহজভাবে নিতে পারি না। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার রয়েছে, আর ৬ মাস পর আরেকটি নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ীই সেই নির্বাচন হবে।

কৃষি সচিবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের বৈঠক : যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাঁচা তুলা আমদানির ক্ষেত্রে দেশে আর পোকামাকড় মুক্তকরণ বা ফিউমিগেশন করতে হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, এতদিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে দেশে পৌঁছানোর পর পোকামাকড়মুক্ত করে, বন্দর থেকে খালাসের ছাড়পত্র নিতে হতো। যুক্তরাষ্ট্র তুলা রপ্তানির আগে সেদেশে পোকামাকড়মুক্ত করে। সেটি দেশেও আরেকবার ফিউমিগেশন করা হতো। সেজন্য, দুবার পরীক্ষা বা ডাবল ফিউমিগেশন বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ব্যবসায়ীরা অনেকদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ অবস্থায়, বাংলাদেশ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করে কাঁচা তুলা পোকামাকড়মুক্ত করার পদ্ধতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। গতকাল রোববার সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে কৃষিসচিব এসব কথা বলেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও দূতাবাসের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য প্রতিনিধি ডেপুটি এসিসট্যান্ট ব্রেন্ডন লিঞ্চ, সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর মেহনাজ খান, রিজিওনাল আইপি অ্যাটাশে জন কাবেকা, ঢাকার ইউএস দূতাবাসের ইকনোমিক চিফ জোসেফ গিবলিন, এগ্রিকালচার অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিস, লেবার অ্যাটাশে লিনা খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।