ধলেশ্বরীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু

ধলেশ্বরী নদীর তীরে মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম এলাকায় ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ সময় নদীতে ড্রেজার ও বাল্কহেড পরিচালনার মাধ্যমে তীর বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে বালুর ব্যবসা পরিচালনার দায়ে চারটি বাল্কহেড ও ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল সোমবার বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন, সহকারী পরিচালক নাহিদ হোসেন, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা রাশিদুলসহ অন্য কর্মকর্তারা। এ সময় একটি এক্সাভেটর (ভেকু) দিয়ে কয়েকটি অবৈধ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সেমিপাকা ঘর, ড্রেজারের পাইপসহ ২০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া

হয়। অভিযানকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, নৌপুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ধলেশ্বরী নদীর তীরে মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম এলাকায় আমাদের তালিকা অনুযায়ী ৭৬টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। গতকাল সোমবার প্রথম দিনের অভিযানে ভেকু কাদামাটির গর্তে আটকে যাওয়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রম বিলম্ব হয়। পরে আরো দুটি ভেকু এনে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনের অভিযানে সেমিপাকা ঘরসহ ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের অভিযানে বাকী অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ধলেশ্বরীর উভয় তীরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।