একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই : ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার চিত্র তুলে ধরে বলেছেন, এই ন্যক্কারজনক গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে। গতকাল সোমবার প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত গণহত্যাবিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আমরা একাত্তর, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরাম (ইবিএফ) এবং প্রজন্ম ’৭১ যৌথভাবে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আমরা একাত্তরের চেয়ারম্যান মাহবুব জামানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে নেদারল্যান্ডসের মানবাধিকার কর্মী হ্যারি ভ্যান বোমেল, ভ্রিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ্যানথনি হলসল্যাগ, যুক্তরাজ্যের সিনিয়র সাংবাদিক ক্রিস ব্লাকবার্ন, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরামের নেদারল্যান্ডসের সভাপতি বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক শাহরিয়ার কবির, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হকসহ দেশ-বিদেশের জেনোসাইড বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, শহিদ সন্তান ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা এই সম্মোলনে বক্তব্য রাখেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল গণহত্যার মূলকেন্দ্র। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের নৃশংস গণহত্যার নজির নেই। দেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা এই গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল। বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে সম্মেলন আয়োজন করায় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।